মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১ আশ্বিন ১৪৩১

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:১৯, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

আপডেট: ১৮:২০, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

ঝালকাঠিতে দুর্ঘটনা: ট্রাক চালক ও সহকারী গ্রেফতার

ঝালকাঠিতে দুর্ঘটনা: ট্রাক চালক ও সহকারী গ্রেফতার

ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান সেতুর টোলপ্লাজায় চারটি বাহনকে চাপা দিয়ে ১৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ট্রাকের চালক ও তার সহকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।বুধবার দুপুরে ঘটনার পর পরেই চালক ও তার সহকারীকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান ঝালকাঠির পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল।

গ্রেফতারকৃত চালকের নাম আল আমিন হাওলাদার। তার বাড়ি ঝালকাঠি সদরের নবগ্রামে। আর সহকারী নাজমুল শেখ খুলনা সদরের বাসিন্দা।  পুলিশ সুপার বলেন, “আল আমিন নিয়মিত চালক ছিলেন না; তিনি বদলি চালক হিসেবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তিনি খুলনা থেকে সিমেন্টের বস্তা নিয়ে নিজ বাড়ি যাচ্ছিলেন।”

বুধবার দুপুর ২টার দিকে খুলনা-ঝালকাঠি মহাসড়কে গাবখান ব্রিজের টোলপ্লাজায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

সেখানে ঝালকাঠি শহরমুখী একটি সিমেন্টবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা তিনটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও একটি প্রাইভেট কারকে ধাক্কা দেয়। এবং বাহনগুলিসহ ট্রাকটি পাশের খাদে পড়ে যায়।

আহতদের মধ্যে ১৩ জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অনেকের অবস্থাই গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

আহতদের মধ্যে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন দুজন। বাকিরা ঝালকাঠিতেই মারা গেছেন। 

বরিশালে মারা যাওয়া দুজন হলেন- পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী উপজেলার মেসন্ডা এলাকার সুবিদ আলী হাওলাদারের ছেলে মো. রুহুল আমিন (৭০) এবং ঝালকাঠি সদর উপজেলার রামনগর এলাকার বাদশা মিয়ার প্রতিবন্ধী ছেলে মো. শহীদুল ইসলাম (৩৫)। 

পরিবারের লোকজনের সঙ্গে বৌভাত অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন রুবেল হোসেন (৩০)। তিনি একটি ইজিবাইকে ছিলেন। দুর্ঘটনার শিকার হলেও তিনি প্রাণে বেঁচে যান। পরে তিনি আহত স্বজনদের নিয়ে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন।

রুবেল হোসেন বলেন, “গাবখান ইউনিয়নের ওস্তকার মাঝি বাড়ি থেকে কীর্তিপাশা ইউনিয়নের ছাগলকান্দা শশীর হাটে যাইতেছিলাম বিয়ের বৌভাত অনুষ্ঠানে। গাবখান ব্রিজ পার হইয়া চারডা অটো (ইজিবাইক) নিয়া যাইতেছিলাম। দুইটা অটো পাশ কইরা গেছে। দুইটা টোল দিতেছিল।

“পেছন থেকে ট্রাক আইসা আমরার ওই দুইটা অটো প্লাস আরও দুইটা অটোরে মাইরা দিছে। ব্রেক ফেইল কইরা মাইরা দিয়া ও নিজে গর্তে পইড়া গেছে।”

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহত রুহুল আমিনের মরদেহের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তার মেয়েজামাই গাবখানের বাসিন্দা হেমায়েত উদ্দিন।

তিনি বলছিলেন, “ছাগলকান্দা আমরা ভাইঝি বিয়া দিছি। সেইখানে আমরা মেলা করছি (রওনা দিয়েছি)। আমরা সামনের গাড়িতে, তারা পিছের গাড়িতে, অটোতে।

“চারডা অটোতে মেলা করছি; দুইডা অটো সামনে গেছে। দুইডা পিছে টোল দেয়; আর ট্রাক আইয়া মাইরা দিছে। আমাগো লোক মারা গেছে পাঁচ-ছয়জন।”

ঝালকাঠির রামনগরের বাদশা মিয়ার ছেলে সাইদুল বলেন, তার প্রতিবন্ধী ভাই শহীদুল (৪৫) গাবখানে ভিক্ষা করেন। তিনি দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়