ঝালকাঠিতে ট্রাকটি ব্রেক ফেইলের কারণে ৪ যানবাহন চাপা দেয়: পুলিশ
ঝালকাঠির গাবখান সেতুর টোলপ্লাজায় ‘ব্রেক ফেইল করে’ চারটি যানবাহনকে ট্রাক চাপা দেয় বলে তার চালক পুলিশের কাছে দাবি করেছেন; যার পরিপ্রেক্ষিতে সড়কে ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
বুধবার দুপুরে এ দুর্ঘটনার পর পরই ট্রাকটির চালক মো. আল আমিন হাওলাদার এবং তার সহকারী (হেলপার) নাজমুল শেখকে গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার তাদেরকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঝালকাঠির পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল রাতে বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার চালক আল-আমীন বলেছেন, সেতুর টোল প্লাজার কাছে এলে হঠাৎ করে ট্রাকটি ব্রেক ফেইল করে। আর এতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।”
“আল-আমীন ওই ট্রাকের নিয়মিত চালক ছিলেন না। তিনি সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকটির বদলি চালক হিসেবে চালিয়ে নিয়ে আসছিলেন। আল-আমীনের হালকা যানবাহনের লাইসেন্স আছে।”
সার্বিক বিষয় নিয়ে তদন্তের কারণে প্রয়োজন হলে চালক ও তার সহকারীকে রিমান্ডের আবেদন করা হতে পারে বলেও জানালেন পুলিশ সুপার।
এদিকে ঝালকাঠি বিআরটিএর মোটরযান পরিদর্শক অনিমেশ মণ্ডল বলেন, “ট্রাকটির ফিটনেস, ক্যাশ টোকেন ও রুট পারমিট ঠিকঠাক আছে। অন্যান্য বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে ঝালকাঠি সদরের গাবখান সেতুর টোল প্লাজায় সিমেন্ট বোঝাই একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছন দিক থেকে এসে তিনটি ইজিবাইক ও একটি প্রাইভেট কারকে চাপা দিলে একই পরিবারের ছয়জনসহ ১৪ জন নিহত হন।
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, চালকসহ প্রাইভেট কারের নিহত ছয় যাত্রীর একজন হাসিবুর রহমানের ছোট ভাই রাজাপুর উপজেলার সাউদপুর গ্রামের হাদিউর রহমান বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর থানায় মামলা করেন।
ওসি বলেন, “সড়ক পরিবহন আইনে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালনো, বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা এবং আহত ও প্রাণনাশের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।”
মামলায় ট্রাকটির চালক ঝালকাঠি সদর উপজেলার নবগ্রামের মো. আল আমিন হাওলাদার (৩২) এবং তার সহকারী খুলনা সদরের বাসিন্দা নাজমুল শেখকে (২২) আসামি করা হয়েছে।