মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১ আশ্বিন ১৪৩১

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:১৬, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

আপডেট: ১৮:১৯, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

বাউফলে সেতু আছে নেই সংযোগ সড়ক: চরম দুর্ভোগে লাখো মানুষ

বাউফলে সেতু আছে নেই সংযোগ সড়ক: চরম দুর্ভোগে লাখো মানুষ

চার বছর আগে বাউফলে ১২ কোটির ও বেশি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ৭ টি আলসিসির গার্ডার ব্রিজের আ্যাপ্রোচ সড়ক না হওয়ায় চরম দুর্ভোগের শিকার কয়েক লাখ মানুষ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই ব্রিজগুলো পাড় হতে গিয়ে অনেকই গুরুতর জখম হয়েছেন।

ব্রিজের আ্যাপ্রোচ সড়ক দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণ না করা নিয়ে ঠিকাদার ও এলজিইডি কতৃপক্ষের চরম গাফেলাতি যা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার ষড়যন্ত্র বলে মনে করেন স্থানীয় জনগণ ও জনপ্রতিনিধিরা।

বাউফল এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাউফলের কনকদিয়া,ধুলিয়া, নওমালা, মদনপুরা, কেশবপুর, কাছিপাড়া ইউনিয়নে ১২ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যায়ে ৭ টি আরসিসি গার্ডার ব্রিজের নির্মানের জন্য পটুয়াখালীর শাহিল এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। ‌কার্যাদেশ অনুযায়ী ২০২২ সালের ৯ এপ্রিল ব্রিজের কাজটি শেষ হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও সম্পন্ন হয়নি ব্রিজের মূল কাজ রেলিং ও আ্যাপ্রোচ সড়ক ।

সরজমিনে কনকদিয়া ইউপির জিলনা-কারখানা সড়কের জিরো পয়েন্ট মোহাম্মদ হাওলাদার খালের উপর নির্মিত ব্রিজটির দেখতে গেল স্থানীয় লোকজন ঠিকাদার ও এলজিইডি কর্মকর্তাদের দোষারোপ করে ক্ষোপ প্রকাশ করেন। জনসাধারণ জানান এপার ওপার ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২ টি মাদ্রাসা রয়েছে, শিক্ষার্থীরা ও সাধারণ মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজ পারাপার হচ্ছে। কনকদিয়া ইউপির চেয়ারম্যান মোঃ শাহিন হাওলাদার জানান, ঠিকাদার খুব প্রভাবশালী উক্ত ব্রিজ ছাড়াও ঠিকাদার অনেক রাস্তার কাজ ফেলে রেখেছে।  এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শাহিল এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বধিকারী মোঃ গিয়াস উদ্দিনের ফোন নাম্বারে একাধিক বার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সুলতান হোসেন জানান ব্রিজের আ্যাপ্রোচ সড়ক না হওয়ায় জনসাধারণ এর ভোগান্তি এটা সত্য। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বহুবার মৌখিকভাবে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে পটুয়াখালী নির্বাহী প্রকৌশলীকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে।  এ ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আমরা পাইনি।
 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়