পাইলট ছেলের মৃত্যুতে মা নিলুফা পাগলপ্রায়, বাড়িতে শোকের মাতম
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানের নিহত পাইলট মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মানিকগঞ্জ জেলা শহরের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, আসিম জাওয়াদের বাবা-মাকে সান্ত্বনা দিতে এসেছেন প্রতিবেশী ও স্বজনরা। সবার চোখে পানি। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে মা পাগলপ্রায়।
স্বজনরা জানান, জাওয়াদদের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। চাকরির কারণে জাওয়াদ তার স্ত্রী অন্তরা, ছয় বছর বয়সের মেয়ে আয়জা ও এক বছরের এক ছেলেকে নিয়ে চট্টগ্রামেই বসবাস করতেন।
চিকিৎসক আমান উল্লাহ এবং সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক শিক্ষিকা মা নিলুফা আক্তার খানম দম্পতির একমাত্র ছেলে আসিম জাওয়াদ। বাবা-মা জেলা শহরের গোল্ডেন টাওয়ারে নিজেদের ফ্ল্যাটে থাকেন।
জাওয়াদের মামা মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সুরুয খান বলেন, ছোটবেলা থেকেই বিমানবাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন ছিল জাওয়াদের। সে খুবই মেধাবী ছাত্র ছিল।
“ছেলের মৃত্যুর খবরে আমার বোন নিলুফা পাগলপ্রায়, বাকরুদ্ধ। তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।”
নিহতের খালাতো ভাই শিমুল জানান, দুপুর ১২টার দিকে তারা আসিম জাওয়াদের মৃত্যুর খবর পান। তার ডাক নাম রিফাত। দেশ একজন মেধাবী অফিসারকে হারালো।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিমান বাহিনীর ইয়াক-১৩০ নামক একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে। পরে চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের অদূরে কর্ণফুলী নদীতে আছড়ে পড়ে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি।
নৌবাহিনীর ইসা খাঁ ঘাঁটির বিএনএস পতেঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১২টার দিকে স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদের মৃত্যু হয়।