ইউনুসকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ ভগিনীপতির বিরুদ্ধে
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে স্ত্রীর বড় ভাই ইউনুস আলীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভগিনীপতি মুক্তারের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে শিলাইদহ ইউনিয়নের মাজগ্রাম মাঠে ধান কাটার সময় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ইউনুসকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন তার ছেলেসহ ৪ জন। নিহত ইউনুস (৬০) মাজগ্রাম খালপাড়ার মৃত আকবর আলীর ছেলে।
নিহতের পরিবার জানান, নিহত ইউনুসের ছেলে হোসেন আলী প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তার ফুফাতো বোনের সঙ্গে। অপ্রাপ্তবয়স্ক হলেও দুই পরিবার তাদের বিয়ে দেয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই দুই পরিবারের মধ্যে দা কুমড়া সম্পর্ক তৈরি হয়।
এর জের ধরে শনিবার সকাল ৭টার দিকে ইউনুস আলী বেশ কয়েকজন শ্রমিককে নিয়ে ধান কাটতে গেলে মুক্তার লোকজন নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ইউনুসকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ সময় ইউনুস আলীকে ঠেকাতে গিয়ে তার ছেলে হোসেনসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত ইউনুস আলীর স্ত্রী মর্জিনা বেগম বলেন, মুক্তারের মেয়ের সঙ্গে ছেলে হোসেনের বিয়ে দেই। এরপর থেকে দুই পরিবারের মধ্যে শুরু হয় ঝামেলা। একপর্যায়ে দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে দুই লাখ চল্লিশ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়; কিন্তু মুক্তার সালিশি বৈঠকের এ সিদ্ধান্ত না মেনে সে ও তার দুই ছেলেসহ ১০-১২ জন মিলে ইউনুসকে হত্যা করেছে। এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ওসি আকিবুল ইসলাম জানান, পূর্বশত্রুতার জের ধরে একজন নিহত হয়েছেন। অপরাধীদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।