রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ২৩ ভাদ্র ১৪৩১

রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশিত: ০৮:১৩, ২৯ জুন ২০২৪

আপডেট: ০৮:১৩, ২৯ জুন ২০২৪

রাজশাহীতে শাহরিয়ার আলমকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা,

রাজশাহীতে শাহরিয়ার আলমকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা,

আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম বাবুলের হত্যাকাণ্ড নিয়ে মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামানের লিটনের বিরুদ্ধে মামলার হুমকির পর রাজশাহীতে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করা হয়েছে সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলমকে।

শুক্রবার বিকালে রাজশাহী মহানগর যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের উদ্যোগে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল হত্যার বিচারের দাবিতে এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করায় সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এ বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

বিকাল ৫টায় কুমারপাড়াস্থ মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করা হয়। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে শাহরিয়ার আলমের কুশপুতুলও দাহ করা হয়। এরপর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে সমাবেশ করা হয়।

সমাবেশে মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি বলেন, “আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ নেতা ছিলেন আশরাফুল ইসলাম বাবুল। আমরা বাবুল হত্যার বিচার চাই এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

তিনি বলেন, বাঘা দলিল লেখক সমিতির কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ দ্বন্দ্ব ও সংঘাত চলে আসছে। এই দ্বন্দ্ব নিরসনের কোনো উদ্যোগ নেননি শাহরিয়ার আলম। এই দ্বন্দ্বের কারণে দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং আওয়ামী লীগ নেতা বাবুলের মৃত্যু হয়। বাবুলের মৃত্যুর মূল হোতা এই শাহরিয়ার আলম। তাকে রাজশাহী জেলা ও মহানগরে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হল।”

মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-২ আব্দুল মমিন বলেন, “বঙ্গবন্ধুর রক্তবন্ধু জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সুযোগ্যপুত্র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের বিরুদ্ধে ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্য করেছে শাহরিয়ার আলম। আওয়ামী লীগ নেতা বাবুলের লাশ নিয়ে রাজনীতি করছে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রকারী শাহরিয়ার আলম গং।”

সমাবেশে রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান খান মনিরের সভাপতিত্বে আরও বক্তৃতা করেন, মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি মাহবুবুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী, জেলা যুবলীগের সভাপতি মাহমুদ হাসান ফয়সল সজল, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসমিন আরাফাত সৈকত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান রানা, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুজ্জামান শফিক, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজিব, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদ সিয়াম, রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু, রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা হিল গালিব, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শুভ কুমার মণ্ডল।

সমাবেশ সঞ্চালনা করেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুম মুবিন সবুজ।

গত ২২ জুন দলিল লেখক সমিতির কমিটি নিয়ে বিরোধের জের ধরে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ নেতা-কর্মী আহত হন। সংঘর্ষের একপর্যায়ে উপজেলা চত্বরের ভেতর থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় আশরাফুল ইসলাম বাবুলকে উদ্ধার করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকালে মারা যান তিনি।

পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে আশরাফুল ইসলাম বাবুলের জানাজার আগে বক্তব্যে বাবুল হত্যাকাণ্ডের ‘মদদদাতা’ হিসেবে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামানের লিটনের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।পরে বিকালেই জরুরি সংবাদ সম্মেলনে খায়রুজ্জামান লিটন অভিযোগ অস্বীকার করে এ ঘটনার জন্য পাল্টা শাহরিয়ার আলমকেই দায়ী করেছেন।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়