মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১ আশ্বিন ১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২:৪৮, ২১ আগস্ট ২০২৪

বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

এক মাসের বেশি সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গুলশানের বাসায় ফিরেছেন দুর্নীতির দুই মামলার দণ্ড থেকে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া বিএনপি চেয়ার পারসন খালেদা জিয়া।

ঢাকার বসুন্ধরার এভার কেয়ার হাসপাতাল থেকে বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় তিনি বাসায় ফেরেন বলে ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান।

তিনি বলেন, “মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে এক মাস ১২দিন পর গুলশানের বাসায় ফিরেছেন ম্যাডাম। এখানে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকবেন তিনি।

“উন্নত চিকিৎসার জন্য উনাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়া হবে। সেই কাজও চলছে।”

সন্ধ্যা ৭টায় এভারকেয়ার হাসপাতালে থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজার’ পথে রওনা হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাসায় পৌঁছান তিনি। বাসায় ফেরার পথে যুবদল ও ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে করতালি ও স্লোগান দেন।

৭৯ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।

সবশেষ গত ৮ জুলাই গভীর রাতে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। এর মাসখানেক আগে গত ২ মে তাকে এ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

তার আগে গত বছরের ৯ অগাস্ট খালেদা জিয়াকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে করা হলে ৫ মাসের বেশি সময় চিকিৎসা শেষে গত ১১ জানুয়ারি তিনি বাসায় ফেরেন। মাঝে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে তার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর তার স্বাস্থ্য কিছুটা স্থিতিশীল হয়।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি ছিলেন তিনি।

২০২০ সালের ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছিল খালেদা জিয়াকে। তখন থেকে ছয় মাস পরপর তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হচ্ছিল।

গণআন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৭ অগাস্ট রাষ্ট্রপতির আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া।

শেখ হাসিনার সরকারের সময় খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিতে পরিবার থেকে বারবার আবেদন করা হলেও অনুমতি মেলেনি। বসুন্ধরার এভার কেয়ার হাসপাতালেই তার চিকিৎসা চলছিল। তবে দণ্ড থেকে মুক্তির পর এখন চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়