মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১ আশ্বিন ১৪৩১

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০৯:২০, ২৩ আগস্ট ২০২৪

আপডেট: ২০:১২, ২৩ আগস্ট ২০২৪

ভারী বৃষ্টিতে পানিতে ডুবে দুজনের মৃত্যু, নিখোঁজ ২, পানিবন্দি ৫০ গ্রাম

ভারী বৃষ্টিতে পানিতে ডুবে দুজনের মৃত্যু, নিখোঁজ ২, পানিবন্দি ৫০ গ্রাম

কক্সবাজারে পানিতে ডুবে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও দুজন। একই সঙ্গে বৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলে জেলার অন্তত ৫০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।

কক্সবাজার আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ তোফায়েল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত কক্সবাজারে ২৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে।

দুপুরে রামু উপজেলার ঈদগড়ে পানিতে ডুবে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে এবং গর্জনিয়ায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের স্রোতে দুই যুবক ভেসে গেছেন বলে জানিয়েছেন রামু থানার ওসি মো. আবু তাহের দেওয়ান।

মৃতরা হলেন- রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বৈদ্যপাড়ার মৃত লইগ্যা রাখাইনের ছেলে চাচিং রাখাইন (৫৫) এবং গর্জনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব জুমছড়ি এলাকার ছৈয়দ হোসেনের ছেলে আমজাদ হোসেন (২২)।

নিখোঁজরা হলেন- রামুর ফতেখাঁরকূল ইউনিয়নের লম্বরী এলাকার নুরুল কবিরের ছেলে মো. জুনাইদ (১০) এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের ছালেহ আহমদের ছেলে রবিউল আলম (৩৫)।

গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল জব্বার বলেন, “আমার পার্শ্ববর্তী ২ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বজুমছড়ি কবরস্থান সড়ক পার হতে গিয়ে আমজাদ হোসেন পানির স্রোতে ভেসে গেছে। পরে কিছুদূর এলাকা থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।

“নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়ন থেকেও বাঁকখালী নদীর পানির স্রোতে রবিউল আলম নামের একজন ভেসে যাওয়ার খবর পেয়েছি। আমার ওয়ার্ডের ২৫০ পরিবার পানিবন্দি। সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। কারো চুলায় আগুন জ্বলছে না। আমি যথাসম্ভব খিচুড়ি রান্না করে জনে জনে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি।”

তিনি বলেন, বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি। উপজেলার গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া, কাউয়ারখোপ ও জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। বাঁকখালী নদীর ভাঙনে এসব এলাকার বাসিন্দারা হুমকির মুখে পড়েছে।

রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান বলেন, আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তীব্র আকার ধারণ করায় রামুর বিভিন্ন জায়গায় পানি বেড়ে গেছে। সবার সঙ্গে সমন্বয় করে দুর্ভোগ নিরসনে কাজ করা হচ্ছে। রামুর অন্তত ৩০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।

বৃষ্টিতে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক প্লাবিত হওয়ায় যানচলাচল ব্যাহত হচ্ছে। একই সঙ্গে উখিয়া ও টেকনাফের ১০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিনিধিরা।

একই সঙ্গে পেকুয়া উপজেলার আরও ১০টি গ্রামের মানুস পানিবন্দি রয়েছে। সেখানে কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রাণহানির তথ্য পাওয়া যায়নি।

কক্সবাজারের প্রধান নদী বাঁকখালী ও মাতামুহুরির পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে প্রবাহিত হচ্ছে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়