মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১ আশ্বিন ১৪৩১

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:৫৪, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আপডেট: ২১:০৫, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হাসপাতালগুলো ডায়রিয়া রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম, ৩ জনের মৃত্যু

হাসপাতালগুলো ডায়রিয়া রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম, ৩ জনের মৃত্যু

নোয়াখালীতে বন্যার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়ে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত নানা রোগের প্রার্দুভাব। আশ্রয়কেন্দ্র ও বাড়িঘরে মানুষদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এসব রোগ। জেলায় এ পর্যন্ত ডায়রিয়ায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এবং সহস্রাধিক আক্রান্ত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে।

সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক, নার্স ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। বেডে জায়গা না হওয়ায় মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছে অনেকে।

২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শয্যা সংখ্যা ১৬টি। চিকিৎসা নিচ্ছে এর কয়েকগুন বেশি। বেডে জায়গা না হওয়ায় মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছে অনেকে।

ডায়রিয়া ওয়ার্ডে স্থান সংকুলান না হওয়ায় হাসপাতালের নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলায় জরুরি ভিত্তিতে একটি ডায়রিয়া ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। সেখানেও জায়গা সংকুলান না হওয়ায় মেঝেতে রোগী রেখে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. নাহিদ হাসান বলেন, ২৪ ঘণ্টায় বন্যার কারণে হাসপাতালটিতে ২৪০ জন রোগী ভর্তি হয় যাদের সবার শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যাওয়ায় নানা জটিলতা দেখা দিয়েছে। “ডায়রিয়া ওয়ার্ডে এতো রোগীর জায়গা দিতে না পারায় নতুন ওয়ার্ডেও রোগী রাখা হচ্ছে।”

ডায়রিয়া ওয়ার্ড ইনচার্জ রাজিয়া সুলতানা বলেন, “প্রতি মুহূর্তে ডায়রিয়সহ পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। একই পরিবারের একাধিক সদস্য আক্রন্ত হওয়ায় কেউ কারো খবর নিতে পারছে না। বাড়তি রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের।”

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার জেলা সদরে ২৬০ জন ডায়রিয়া রোগীর এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেগুলোতে আরও ২৪৫ জন ভর্তি রয়েছেন।

জেলা জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “বন্যার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের প্রার্দুভাব দেখা দেওয়ায় জেলায় সরকারি- বেসরকারিভাবে ১৪০টি সরকারি মেডিকেল টিম একযোগে কাজ করছে।

“এসব মেডিকেল টিম ব্যবস্থাপত্র ও ওষুধ দেওয়ার পাশাপাশি পানিবাহিত রোগ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।” ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের প্রার্দুভাব ঠেকাতে নিরাপদ পানি ব্যবহার ও খাওয়ার আগে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়