বৃহস্পতিবার   ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৩ আশ্বিন ১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:২৫, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১৯:৩৩, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের মরদেহ উদ্ধার

বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের মরদেহ উদ্ধার

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় একটি ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের পাঁচ বছরের শিশু সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া আরও একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার আশুলিয়ার ভাদাইল এম এ হাসান বাচ্চুর মালিকানাধীন ভবনের চতুর্থ তলা থেকে মৃতদেহ তিনটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে আশুলিয়া থানার ওসি মাসুদুর রহমান জানান।

নিহতরা হলেন- বাড়ির মালিক এম এ হাসান বাচ্চু (৫০), তার স্ত্রী স্বপ্না বেগম (৩২) ও তাদের পাঁচ বছরের মেয়ে জান্নাতি।

আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বাচ্চুর ছেলে হিমেল (১৮)।

প্রতিবেশীরা জানান, বাচ্চু মিয়া ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি এর আগে আরও দুটি বিয়ে করেছিলেন। তৃতীয় স্ত্রীকে নিয়ে তিনি এই ভবনে থাকতেন।

বুধবার রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়াবিবাদ হয়। সকালে তাদের ঘরে আগুন জ্বলতে দেখে স্থানীয়রা দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় তারা বাচ্চু মিয়াকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।

তার স্ত্রী ও সন্তান তখনও বেঁচে ছিল। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তারা মারা যান। নিহত বাচ্চুর পা, মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে।

প্রতিবেশী ফরিদা বেগম বলেন, সকাল ১০টার দিকে বাচ্চুর স্ত্রী মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে এসে দরজা লাগিয়ে দেন। এরপর দুপুরে তার ছেলে হিমেলের চিৎকার শুনে ভবনের চারতলা থেকে দগ্ধ অবস্থায় স্বপ্না, জান্নাতি ও হিমেলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার হয়।

“পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক স্বপ্না ও শিশু জান্নাতিকে মৃত ঘোষণা করে। হিমেলকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। তবে বাড়ির মালিক বাচ্চুকে মৃত অবস্থায় কক্ষের ভেতর পাওয়া যায়। তবে কী জন্য এ ঘটনা ঘটেছে তা জানি না।”

তিনি ধারণা করেন, “বাচ্চু ও তার স্ত্রীর মধ্যে কোনো ঝামেলা হয়েছিলো মনে হচ্ছে। যে কারণে কক্ষের ভিতরে তারা নিজেরাই এই ঘটনা ঘটাইছে। বাচ্চুর গালে ধারালো অস্ত্রের জখমও দেখেছি। তাছাড়া তো আর কোনো কারণ দেখি না।”

বাচ্চুর ছোট বোন হেনা বেগম বলেন, স্বপ্না বাচ্চুর তৃতীয় স্ত্রী। আগের স্ত্রী অনেক আগে চলে গেছেন। হিমেল প্রথম স্ত্রীর ছেলে। দ্বিতীয় স্ত্রী মীমাংসা করে আলাদা হয়ে গেছে। সে ঘরে একটি মেয়ে রয়েছে।

আশুলিয়া থানার ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, “আমরা শুনেছি তিনটি লাশ একটি বাড়িতে আছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে, বিষয়টি তদন্ত করছে।”

সর্বশেষ

জনপ্রিয়