বুধবার   ২৩ অক্টোবর ২০২৪ , ৭ কার্তিক ১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রকাশিত: ১০:২৫, ২১ অক্টোবর ২০২৪

আপডেট: ১০:২৫, ২১ অক্টোবর ২০২৪

বিদেশি ঋণ ছাড় কমেছে ৩৪%, ঋণের প্রতিশ্রুতিও তলানিতে ঠেকেছে

বিদেশি ঋণ ছাড় কমেছে ৩৪%, ঋণের প্রতিশ্রুতিও তলানিতে ঠেকেছে

কোটা আন্দোলন ঘিরে সংঘাত ও ক্ষমতার পালাবদলের পরে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে বিদেশি ঋণের ছাড়ের পরিমাণ আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩৪ শতাংশ কমেছে।

একই সঙ্গে এ সময়ে দেশে যত বিদেশি ঋণ এসেছে, সুদ ও আসল মিলিয়ে পরিশোধ করা হয়েছে তার চেয়ে অনেকে বেশি। অপরদিকে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতিও কমে তলানিতে ঠেকেছে।

চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরের প্রথম প্রান্তিকের অর্থ ছাড়ের তথ্য রোববার প্রকাশ করেছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।

হালনাগাদ এ তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় দাতা সংস্থা ও দেশ প্রতিশ্রুতি দেওয়া বিদেশি ঋণ ও অনুদানের মধ্যে ৮৪ কোটি ৬১ লাখ ডলার ছাড় করেছে। আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে অর্থ ছাড়ের পরিমাণ ছিল ১২৮ কোটি ১৭ লাখ ডলার। এ হিসেবে ৪৩ কোটি ৫৬ লাখ ডলারের অর্থ ছাড় কম হয়েছে, শতাংশের হিসেবে ৩৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ কম।

উল্টো একই সময়ে সুদ ও আসল মিলিয়ে ১১২ কোটি ৬৫ লাখ ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ এই তিন মাসে ঋণ ছাড়ের চেয়ে ঋণ পরিশোধ প্রায় ২৮ কোটি ডলার বেশি ছিল; যা দেশে ছাড় হওয়া বৈদেশিক ঋণের তুলনায় ৩৩ দশমিক ১৪ শতাংশ বেশি।

সাধারণত অর্থ ছাড়ের তুলনায় ঋণ পরিশোধের পরিমাণ কমই থাকে, আগের দুই অর্থবছরের চিত্র এমনটাই ছিল। তবে দেশের অস্থির সময়ে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে যে পরিমাণ বিদেশি অর্থ এসেছে, তার চেয়ে বেশি পরিমাণ অর্থ গেছে ঋণ শোধ করতে।

এর আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৯৮৬ কোটি ডলার ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ। এসময় বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল মিলিয়ে বাংলাদেশকে প্রায় ৩৩৬ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়।

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের মধ্যে জুলাই ও অগাস্টের বড় অংশজুড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতনের উত্তাল সময় দেখেছে দেশ। আন্দোলনে সহিংসতায় বাঁধাগ্রস্ত হয়েছে প্রকল্পের কার্যক্রম। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এর প্রভাব পড়েছে অর্থ ছাড়ে।

এদিকে অর্থ ছাড় ব্যাপক কমার মধ্যেই বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি প্রায় তলানিতে ঠেকেছে গত জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে। এসময়ে ২ কোটি ৭৪ লাখ ডলারের ঋণের প্রতিশ্রুতি মিলেছে, যেখানে আগের অর্থবছরের একই সময়ে ২৮৮ কোটি ৫ লাখ ডলারের প্রতিশ্রুতি মিলেছিল। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে প্রতিশ্রুতির পরিমাণ কমল ৯৯ শতাংশের অধিক।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়