আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে কিনা, তা ঠিক করবে জনগণ: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল। তারা রাজনীতি করবে বা নির্বাচন করবে কিনা, তা জনগণ ঠিক করবে।’
বুধবার দুপুরে ফেনীর ফুলগাজীতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পৈতৃক বাড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও ঢেউটিন বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তবে যারা দেশের মানুষকে হত্যা করেছে, মানুষকে নির্যাতন করেছে এবং যারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে এবং শাস্তি দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি কাউকে নির্বাচনে আনতে চায়, এমন কথা বলিনি আমরা। আওয়ামী লীগকে জড়িয়ে এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে আসা বক্তব্য সঠিকভাবে উপস্থাপন হয়নি।’
অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। হাসিনাসহ দস্যুরা পালিয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার তিন মাসের মধ্যে অনেক কাজ করেছে। যত দ্রুত সম্ভব তারা জঞ্জাল সরিয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।’
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা, বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি নতুন আলোচনা তৈরি হয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারের পর।
আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটির এমন প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা ইতোমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাইনি এবং বিএনপি (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল) বলেছে, সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। সুতরাং তারা ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত দিয়ে দিয়েছে। আমরা দেশের একটি প্রধান দলের মতামত অগ্রাহ্য করতে পারি না।’
‘তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণে আপনার কোনও আপত্তি নেই’- এই প্রশ্নে তিনি আবার বলেন, ‘আমি রাজনীতিবিদ নই যে এ দল বা অন্য দল বেছে নেবো। আমি রাজনীতিবিদদের ইচ্ছা বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করছি।’
এই সাক্ষাৎকার প্রকাশ হওয়ার পর সরকার পতন আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে বিরূপ প্রতিক্রিয়া এসেছে। বিচারের আগে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা হলে ‘দ্বিতীয় বিপ্লবের’ হুঁশিয়ারিও এসেছে একাধিক সমন্বয়কের পক্ষ থেকে।
ফুলগাজীতে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার ও সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন প্রমুখ।