ভারত থেকে বাংলাদেশে আমদানি বেড়েছে ১৩% : ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
ভারত থেকে বাংলাদেশে আমদানি বেড়েছে। দেশে আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে ভারত থেকে পণ্য আমদানি বেড়েছে ১৩ শতাংশ। ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য বিভাগ থেকে প্রকাশিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের (ভারতে অর্থবছর হিসাব করা হয় এপ্রিল-মার্চ সময়সীমায়) প্রথম ছয় মাসের পরিসংখ্যানে এ চিত্র উঠে এসেছে।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ভারতীয় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি আগের অর্থবছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ কমেছিল। এরপর চলমান ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শুরুর দিকে তা বাড়তে শুরু করে। মে ও জুন প্রবৃদ্ধির ধারায় ছিল। এরপর জুলাইয়ে তা কমে যায়। আগস্টেও আগের মাসের তুলনায় আমদানি কমে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে আবার আগস্টের তুলনায় ভারত থেকে ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ পণ্য আমদানি বেড়েছে। আগস্টে প্রতিবেশী দেশটি থেকে পণ্য আমদানি হয় ৭৬ কোটি ৪ লাখ ৯০ হাজার ডলারের। সেপ্টেম্বরে আমদানি হয়েছে ৮৬ কোটি ৮ লাখ ১০ হাজার ডলারের পণ্য।
ভারতের বাণিজ্য বিভাগের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর—এ ছয় মাসে ভারত থেকে বাংলাদেশের পণ্য আমদানির অর্থমূল্য ছিল ৫১৯ কোটি ৮৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার। ভারতীয় আগের অর্থবছরের একই সময়ে আমদানি হয় ৫০৪ কোটি ৫০ লাখ ডলারের পণ্য। এ হিসাবে অর্থবছরের প্রথমার্ধে ভারত থেকে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি বেড়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। একই সময়ে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবেশী দেশটিতে পণ্য রফতানি কমেছে দশমিক ৬ শতাংশ।
জুলাইয়ে তীব্র হওয়া ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই মাসে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির প্রভাব পড়ে দুই দেশের বাণিজ্যে। টানা তিনদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে বন্ধ ছিল ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য। ভারতসহ প্রায় সব দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য জুলাই ও আগস্টে বিঘ্নিত হয়। সেপ্টেম্বরে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়। বাংলাদেশের বাজারে দামের ঊর্ধ্বগতি সামাল দিতে অক্টোবর থেকে বিপুল পরিমাণে পেঁয়াজ, ডিম ও কাঁচামরিচের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য আমদানি হচ্ছে ভারত থেকে।
ভারতের বাণিজ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারত থেকে বাংলাদেশে শীর্ষ আমদানি পণ্য হলো তুলা। দ্বিতীয় শীর্ষ পণ্য খাদ্যশস্য। পাশাপাশি আমদানি হয় খনিজ ও জ্বালানি পণ্য। আর বাংলাদেশ থেকে ভারতে রফতানি হওয়া প্রধান পণ্য হলো তৈরি পোশাক।
দুই দেশের বাণিজ্যসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারত থেকে অনেক ধরনের পণ্য বাংলাদেশকে আমদানি করতে হয়। যেমন কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ বা চালের মতো নিত্যপণ্যের বড় একটি অংশই ভারত থেকে আসে। পাশাপাশি তুলা আমদানি করতে হয় টেক্সটাইল মিল চালানোর জন্য। কারখানায় পোশাক তৈরির জন্য কাপড়ও আমদানি করতে হয়।