শুক্রবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১২ পৌষ ১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রকাশিত: ১০:০৭, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১১:৩৭, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

মৌখিক আশ্বাস মিললেও সুফল মিলছে না, জুলাই–অক্টোবরে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি কমেছে ৯৩ শতাংশ

মৌখিক আশ্বাস মিললেও সুফল মিলছে না, জুলাই–অক্টোবরে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি কমেছে ৯৩ শতাংশ

কোটা আন্দোলন ঘিরে সংঘাত ও ক্ষমতার পালাবদলের পর বিদেশি দাতা সংস্থা থেকে ঋণের মৌখিক আশ্বাস মিললেও তার সুফল মিলছে না।

বিদেশি অর্থ ছাড়েও গতি ফেরেনি, ফলে এ সময়ে দেশে যত বিদেশি ঋণ এসেছে, সুদ ও আসল মিলিয়ে পরিশোধ করা হয়েছে তার চেয়ে বেশি।

চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবরের বিদেশি অর্থ ছাড় ও বিদেশি ঋণের তথ্য বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম চারমাসে বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি কমেছে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৯৩ শতাংশ।

গত অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবরে যেখানে ৩৬২ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি মিলেছে, সেখানে চলতি অর্থবছরের একই সময়ে পাওয়া গেছে ২৫ কোটি ৪৫ ডলারের; যা শতাংশে ৯৩ শতাংশ কম।

হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় দাতা সংস্থা ও দেশ প্রতিশ্রুতি দেওয়া বিদেশি ঋণ ও অনুদানের মধ্যে ১২০ কোটি ২০ লাখ ডলার ছাড় করেছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে অর্থ ছাড়ের পরিমাণ ছিল ১৬২ কোটি ৬১ লাখ ডলার। এ হিসেবে ৪২ কোটি ৪১ লাখ ডলারের অর্থ ছাড় কম হয়েছে, শতাংশের হিসেবে ২৬ দশমিক ০৮ শতাংশ কম।

একই সময়ে সুদ ও আসল মিলিয়ে ১৪৩ কোটি ৭৯ লাখ ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ এই তিন মাসে ঋণ ছাড়ের চেয়ে ঋণ পরিশোধ ২৩ কোটি ডলারের বেশি ছিল; যা দেশে ছাড় হওয়া বৈদেশিক ঋণের তুলনায় ১৯ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি।

সাধারণত অর্থ ছাড়ের তুলনায় ঋণ পরিশোধের পরিমাণ কমই থাকে, আগের দুই অর্থবছরের চিত্র এমনটাই ছিল।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৯৮৬ কোটি ডলার ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ। এসময় বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল মিলিয়ে বাংলাদেশকে প্রায় ৩৩৬ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়।

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের মধ্যে জুলাই ও অগাস্টের বড় অংশজুড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতনের উত্তাল সময় দেখেছে দেশ। আন্দোলনে সহিংসতায় বাধাগ্রস্ত হয়েছে প্রকল্পের কার্যক্রম। কর্মকর্তারা বলছেন, এর প্রভাব পড়েছে অর্থ ছাড়ে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়