শীতের তীব্রতা বেড়েছে, পড়ছে বৃষ্টির মতো ঝিরিঝিরি কুয়াশা
সারা দেশের মতো ঘন কুয়াশা ও মৃদ শৈত্যপ্রবাহ বইছে রাজধানীতেও। দুদিন ধরে সূর্যের মুখ লুকিয়ে থাকায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সেই সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে বৃষ্টির মতো ঝিরিঝিরি কুয়াশা, সঙ্গে হিমেল হাওয়া। সবমিলিয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন।
শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ভোর থেকে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পুরো ঢাকা। বৃষ্টির মতো ঝিরিঝিরি কুয়াশায় ভিজে গেছে রাস্তাঘাট। আর যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সকাল সাড়ে ৮টায়ও সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি।
ছুটির দিন হওয়ায় রাস্তাঘাটে মানুষের পদচারণা তুলনামূলক অনেক কম। তবে যারাই বের হচ্ছেন বৃষ্টির মত কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় ভোগান্তিতে পড়ছেন। একাধিক গরম পোশাক গায়ে জড়িয়েও যেন শীতের সঙ্গে পারা দায়।
বরাবরের মতোই শীতে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় খেটেখাওয়া আর ছিন্নমূল মানুষ। এক টুকরো গরম কাপড় আর সূর্যের মান ভাঙার দিকে তাকিয়ে আছেন তারা।
ঢাকায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ার দাপটে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। এমন পরিস্থিতি আরও দুই থেকে তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুকের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী রোববার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। যদিও ঘন কুয়াশার কারণে সারা দেশের কোথাও কোথাও তীব্র শীত অনুভূত হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, এ সময় মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড় যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
এ কদিন অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, এ সময়ের শুরুর দিকে দেশের উত্তরাংশে হালকা বৃষ্টি অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পারে। আর এ সময়ের শেষের দিকে তাপমাত্রা কমতে পারে।