মঙ্গলবার   ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ , ২৩ পৌষ ১৪৩১

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:৫১, ৪ জানুয়ারি ২০২৫

টেকনাফের নাফ নদে চোরাকারবারি-কোস্ট গার্ড গুলিবিনিময়, নিহত ১

টেকনাফের নাফ নদে চোরাকারবারি-কোস্ট গার্ড গুলিবিনিময়, নিহত ১

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদে চোরাকারবারিদের সঙ্গে কোস্ট গার্ডের গুলিবিনিময়ে জালাল উদ্দিন (৩৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার মধ্যরাতে নাফ নদের মোহনায় নাইক্ষ্যং দিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জালাল উদ্দিন চোরাকারবারি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ কোস্ট। এ ঘটনায় মাদক ও অস্ত্রসহ ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্য পাঁচজন রোহিঙ্গা।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. সিয়াম উল হক।

তিনি জানান, গোপন সংবাদে মিয়ানমার থেকে ট্রলারে চোরাকারবারিদের একটি মাদকের চালান পাচারের খবরে বাংলাদেশ জলসীমায় প্রবেশকালে কোস্ট গার্ডের টহল ওই বোটটিকে থামার সংকেত দেয়। সংকেত অমান্য করে দ্রুতগতিতে কক্সবাজারের দিকে পালাতে শুরু করে বোটটি। এ সময় কোস্ট গার্ড ফাঁকা গোলার মাধ্যমে বোটটিকে থামার সংকেত প্রদান করে। এক পর্যায়ে ট্রলার থেকে চোরাকারবারিরা কোস্ট গার্ডকে লক্ষ্য করে অতর্কিত গুলিবর্ষণ শুরু করে। এ সময় কোস্ট গার্ডের আভিযানিক দল আত্মরক্ষার্থে ও বোটটিকে ওয়াটার লাইন এবং ইঞ্জিনরুম বরাবর গুলি চালায়।

কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা আরও বলেন, পরে কোস্টগার্ডের সদস্যরা ট্রলার থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে। তাকে টেকনাফ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এরপর ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে ১৬ জন ডাকাত ও মাদক পাচারকারী আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে করে ১০ হাজার ইয়াবা, তিনটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩ রাউন্ড তাজা গোলা পাওয়া যায়। আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।’ 

কোস্টগার্ড কর্মকর্তা আরও জানান, আটককৃত ডাকাত ও মাদক পাচারকারীদের থেকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা মিয়ানমার থেকে মাদকদ্রব্য পাচারের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে নিয়ে আসার সময় কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য নাফ নদীতে ফেলে দেয়। ফেলে দেওয়া মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। জব্দকৃত ইয়াবা, আগ্নেয়াস্ত্র, তাজা গোলা ও আটককৃত আসামিদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।’

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা প্রণয় রুদ্র বলেন, ‘সকালে পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসে। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে তার মৃত্যু হয়।’ 

নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজারের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়