সিনিয়র সচিব পদায়ন: আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে এখন তাদের পথেই হাঁটছে অন্তর্বর্তী সরকার

রাজনীতি থেকে শুরু করে আমলাতান্ত্রিক কর্মকাণ্ড সব ক্ষেত্রেই বিগত সরকারের তীব্র সমালোচনা করলেও তাদের পদাংকই অনুসরণ করে চলেছে বতর্মান সরকারও। প্রশাসনে পদায়ন ও পদোন্নতি এর একটি সামান্য নজির।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব হিসেবে গত বছরের ১৩ আগস্ট নিয়োগ পান বার্তা সংস্থা এএফপির বাংলাদেশের সাবেক ব্যুরো প্রধান শফিকুল আলম। সে সময় সরকারের সচিব পদমর্যাদায় তাকে এ নিয়োগ দেয়া হয়। এর ছয় মাসের মাথায় গত মঙ্গলবার তাকে পদোন্নতি দিয়ে সিনিয়র সচিবের পদমর্যাদা দেয়া হয়েছে। চলতি মাসেই (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য গঠন) পদে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন সাংবাদিক মনির হায়দার। সব মিলিয়ে এখন অন্তর্বর্তী সরকারের সিনিয়র সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে অন্তত ১৬-তে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব পদ দুটিকে এ হিসাবে ধরা হয়নি।
সরকারের সিনিয়র সচিব পদ নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। অভিযোগ আছে, অনুগত আমলাদের পুরস্কৃত করতে এ পদ সৃষ্টি করেছিল শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। সম্প্রতি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে পদটি বিলোপের সুপারিশ করা হয়। যদিও এ পদে পদায়ন থেমে নেই। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পদাঙ্ক অনুসরণ করে সিনিয়র সচিব পদে দেয়া হচ্ছে একের পর এক পদোন্নতি। এ ধারা অব্যাহত থাকলে অচিরেই সিনিয়র সচিব পদে নিয়োজিতের সংখ্যা বিগত সরকারের আমলকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা।
গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ। গত বছরের ১৮ এপ্রিলের তথ্য অনুযায়ী, সে সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মুখ্য সচিব ছাড়া সরকারের সিনিয়র সচিব পদে নিয়োজিত ছিলেন মোট ১৯ জন। তাদের প্রায় সবাই তৎকালীন সরকারের ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
সাবেক সচিব একেএম আবদুল আউয়াল মজুমদার বলেন, ‘গত সরকারের আমলে আমার ব্যাচের (১৯৮২ ব্যাচ, নিয়মিত) ২০ জন সিনিয়র সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। তার মধ্যে ১৮ জনই মেধা তালিকায় আমার পরে। সে সময় সিনিয়র সচিবের পদটি ছিল রাজনৈতিক ঘুস। আর এখন যেটি হচ্ছে সেটিও ঠিক না। কারণ চুক্তিভিত্তিক হিসেবে সচিব নিয়োগের পর আবার সিনিয়র সচিব পদোন্নতি দেয়ার বিষয়টি যথাযথ না। তাদের মর্যাদা সিনিয়র সচিবের সমান করা হলো, এটা বলা যেত। তবে চুক্তিতে নিয়োগপ্রাপ্তদের পদোন্নতি দেয়া যায় না।’
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গত ৯ ফেব্রুয়ারি হালনাগাদকৃত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রশাসনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মুখ্য সচিবের বাইরে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন অন্তত ১৩ জন। এর বাইরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য গঠন) এবং মেক্সিকোয় নিযুক্ত বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রদূতকেও এ পদমর্যাদা দেয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব পদে রয়েছেন জননিরাপত্তা ও সুরক্ষা বিভাগের ড. নাসিমুল গনি, বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য এমএ আকমল হোসেন আজাদ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের মো. এহছানুল হক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মো. মোখলেস উর রহমান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিদ্দিক জোবায়ের, বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মো. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মমতাজ আহমেদ, ভূমি মন্ত্রণালয়ের এএসএম সালেহ আহমেদ, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মোহাম্মদ ইউসুফ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের জাকিয়া সুলতানা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মো. মোকাব্বির হোসেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আখতার আহমেদ ও প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ। এছাড়া মেক্সিকোয় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য গঠন) মনির হায়দার ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও এখন এ পদমর্যাদায় নিযুক্ত রয়েছেন।
জনপ্রশাসনের মৌলিক কাঠামোয় প্রকৃতপক্ষে সিনিয়র সচিবের কোনো পদ নেই। এ পদ সৃষ্টি হয় ২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি শেখ হাসিনা সরকারের এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে। মূলত অনুগত আমলাদের দল তৈরি ও তাদের পুরস্কৃত করতেই এ পদ সৃজন করা হয়েছিল। আর এক্ষেত্রে মাস্টারমাইন্ডের ভূমিকা পালন করেছিলেন প্রয়াত এইচটি ইমাম। সরকারের প্রশাসনিক কাঠামো অনুযায়ী আমলাতন্ত্রে শীর্ষ পর্যায়ের পদসোপান পাঁচটি। সেগুলো হচ্ছে সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব, উপসচিব ও সহকারী সচিব। এর সঙ্গে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে যুক্ত করা হয়েছে সিনিয়র সচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিব। সিনিয়র সচিবের অবস্থান রাখা হয়েছে সচিবের ওপরে। আর সিনিয়র সহকারী সচিবের অবস্থান রাখা হয়েছে উপসচিব ও সহকারী সচিবের মাঝামাঝি।
সরকারের রাষ্ট্রাচার অনুযায়ী, বেসামরিক আমলাদের মধ্যে সবার ওপরে রয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মুখ্য সচিব। এরপর অন্যান্য বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের সচিবদের অবস্থান বিবেচনা করা হয়। তবে কোথাও সিনিয়র সচিবের অবস্থান পরিষ্কার করা হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা বলেন, ‘সিনিয়র সচিব পদটি ২০১২ সালে এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সৃষ্টি করা হয়। যেহেতু এটি এখনো বলবৎ রয়েছে, তাই এ পদে নিয়োগ বা পদোন্নতি স্বাভাবিক বিষয়। সংস্কার কমিশন সিনিয়র সচিব পদ বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে। তবে এগুলো এ মুহূর্তে হবে না। সবগুলো সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট সমন্বিতভাবে পর্যালোচনা হতে পারে। তারপর অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সুপারিশমালা বাস্তবায়নের বিষয় আসবে।’
আওয়ামী লীগ আমলে অনুগত আমলাদের পুরস্কৃত করতে এইচটি ইমামের আগ্রহ ও পরামর্শে সিনিয়র সচিবের পদ সৃজন করেন শেখ হাসিনা। তবে এভাবে রাষ্ট্র নির্ধারিত অর্গানোগ্রামের বাইরে পদোন্নতি দিয়ে আমলাদের আনুগত্যের জন্য পুরস্কৃত করার সংস্কৃতির প্রথম নিদর্শনটি সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আমলের। অনুগত আমলাদের পুরস্কৃত করতে জেনারেল এরশাদ তিনজনকে মুখ্য সচিব মর্যাদায় নিয়োগ দিয়েছিলেন। তারা হলেন ১৯৫৬ ব্যাচের কাজী ফজলু রহমান, ১৯৫৬ ব্যাচের এম সাইদুজ্জামান ও ১৯৫৭ ব্যাচের খোরশেদ আলম। আর ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে ১৯৬৭ ব্যাচের ড. শাহ মোহাম্মদ ফরিদকে মুখ্য সচিব মর্যাদায় নিয়োগ দেয়। পুরস্কৃত এসব আমলার সবাই সিএসপি কর্মকর্তা ছিলেন। তবে এসব পদায়ন হয়েছিল বিশেষ বিবেচনায়। সরকারের অর্গানোগ্রামে এমন কোনো পদ ছিল না।
সিনিয়র সচিব বা সমমর্যাদার পদের উপস্থিতি বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত ও পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। অত্যন্ত চৌকস, বিচক্ষণ ও রাষ্ট্রের প্রয়োজনে এসব পদে নিয়োগ দেয় সরকার। পাকিস্তানে সিনিয়র সচিবের সমমর্যাদাসম্পন্ন পদকে বলা হয় সেক্রেটারি জেনারেল। সেখানে প্রতিরক্ষা, অর্থ, সংস্থাপন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোয় জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সেক্রেটারি জেনারেল পদে নিয়োগদান সম্পন্ন করা হয়। একইভাবে ভারতেও দক্ষ ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ধরে রাখার জন্য পদোন্নতি দেয়ার নজির দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে তাদের নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তবে এসব দেশে এ ধরনের পদে পদায়ন হয় খুবই সীমিতসংখ্যক ও কালেভদ্রে এবং কর্মদক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত বছরের ১৪ আগস্ট ইউনূস সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক লামিয়া মোরশেদকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি–বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়। একই দিনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব হিসেবে নিয়োগ পান বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) মো. মোকাব্বির হোসেন। এর তিনদিনের মাথায় ১৭ আগস্ট তাকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে বদলি করা হয়।
ওই দিনই (১৭ আগস্ট) অবসরে যাওয়া পাঁচজন অতিরিক্ত সচিবকে সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। তারা হলেন ড. শেখ আব্দুর রশিদ, ড. নাসিমুল গণি, এমএ আকমল হোসেন আজাদ, মো. এহছানুল হক এবং ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন। একদিন পর ১৮ আগস্ট তাদের সবাইকে সিনিয়র সচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। এ পাঁচজনই আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অতিরিক্ত সচিব থেকে অবসরে যান। পরে তাদের মধ্যে ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেনকে গত ডিসেম্বরে দুদক চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেয়া হয়। সংবিধান অনুযায়ী এ পদের পদমর্যাদা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতির পদমর্যাদার সমতুল্য।
জাকিয়া সুলতানা শিল্প মন্ত্রণালয়ে সচিব হিসেবে নিয়োগ পান ২০২১ সালের ১৬ মে। গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ২৭ সেপ্টেম্বর তাকে একই মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয়।
৮ অক্টোবর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব শেখ আব্দুর রশিদকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়ার পর পদটি শূন্য হয়। ১৪ অক্টোবর চুক্তিতে দুই বছরের জন্য তাকে এ নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পরে সাবেক আমলা সিদ্দিক জোবায়েরকে চুক্তির ভিত্তিতে চাকরিতে ফিরিয়ে এনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব করা হয়।
সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীকে গত ২১ অক্টোবর সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখা। তিনি বর্তমানে মেক্সিকোয় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে ২৭ অক্টোবর নিয়োগ পান সাবেক আমলা ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। তাকে দুই বছরের জন্য এ পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তিনি বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে ১৯৮৪ ব্যাচের (পঞ্চম ব্যাচ) কর্মকর্তা। ৩ নভেম্বর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান মমতাজ আহমেদ। তিনিও দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন। ১০ নভেম্বর নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব পদে নিয়োগ পান মোহাম্মদ ইউসুফ।
এসব নিয়োগ সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে সরকারের সাবেক এক সচিব বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে পদোন্নতি হয় মেধা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে। কিন্তু বিগত সরকারের সময় সেটা মানা হয়নি। আনুগত্য বিবেচনায় নিয়োজিত সিনিয়র সচিবরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিতর্কিত হয়েছেন। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সিনিয়র পদ বিলুপ্তির সুপারিশ ভালো সিদ্ধান্ত। তবে সুপারিশ বাস্তবায়ন মৌখিক কোনো বিষয় নয়, এটা নির্বাহী আদেশ অথবা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমেই হয়ে থাকে।’