মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১ আশ্বিন ১৪৩১

কুমিল্লা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:৫৬, ২২ মার্চ ২০২৪

আপডেট: ২২:৩৪, ২২ মার্চ ২০২৪

অবন্তিকার বাড়িতে তদন্ত কমিটি, দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়ার আশ্বাস

অবন্তিকার বাড়িতে তদন্ত কমিটি, দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়ার আশ্বাস

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে আড়াই ঘণ্টা বৈঠক করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন জানান, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকায় তাদের পাঁচ সদস্য অবন্তিকার বাসায় যান।

কুমিল্লায় আসা তদন্ত কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন- সদস্য সচিব জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার অ্যাডভোকেট রঞ্জন কুমার দাস, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এসএম মাসুম বিল্যাহ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ঝুমুর আহমেদ।

তারা অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম শবনম এবং ছোট ভাই জারিফ জাওয়াদ অপূর্বসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।

অবন্তিকার বাসা থেকে বেরিয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক জাকির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনার তদন্ত করতে আমরা কুমিল্লায় এসেছি। আড়াই ঘণ্টা ধরে অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি।

“তিনি যা জানেন সেগুলো আমাদের বলেছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে সেগুলো বলা সম্ভব হচ্ছে না।”

তবে কবে নাগাদ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে, সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় কারাগারে থাকা দুই আসামি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী রায়হান আম্মান সিদ্দিকীর সঙ্গেও কারাগারে দেখা করে কথা বলেছেন।

শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, “জবির তদন্ত কমিটির সদস্যরা সাড়ে ৩টার দিকে কারাগারে আসেন। তারা কারাবিধি মেনে অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় কারাগারে থাকা দুই আসামির সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেন।”

তদন্ত কমিটির সঙ্গে কী কথা হয়েছে জানতে চাইলে অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম বলেন, “আমার কাছে যা জানতে চেয়েছে আমি তদন্ত দলকে সব বলেছি। তারা আমাকে ও আমার ছেলেকে সান্ত্বনা দিয়েছে। আমরা এখন জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

তাহমিনা শবনম আক্ষেপের সুরে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন যতটা আন্তরিক, আগে এতটা হলে হয়তো, মেয়েকে হারাতে হত না।”

গত ১৫ মার্চ রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা শহরের বাগিচাগাঁও ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন এলাকার বাসায় আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা। এর আগে নিজের ফেইসবুক আইডিতে তার এমন মৃত্যুর জন্য দায়ী করেন দুইজনকে। তারা হলেন-সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম।

ঘটনার পরদিন রায়হান সিদ্দিকী আম্মানকে বহিষ্কার ও দ্বীন ইসলামকে সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপকের পদ থেকে দ্বীনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তারা দুজনেই বর্তমানে কারাগারে আছেন।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়