যেভাবে হবে ষষ্ঠ-নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা
চলতি শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণিতে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের যতটুকু পড়ানো শেষ হবে, তার ভিত্তিতেই বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন ঘিরে শ্রেণি কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটা এবং সরকার পতনের পরবর্তিত পরিস্থিতির পর গত ১৯ সেপ্টেম্বর এ নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশি।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, “বিগত কয়েক মাসের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে শ্রেণি কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়েছে এবং শিক্ষাবর্ষের অবশিষ্ট সময়ে সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি মোতাবেক শ্রেণিকক্ষের শিখন কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না বলে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকমহল থেকে দাবি করা হয়েছে।
“বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ আগামী বার্ষিক পরীক্ষার আগ পর্যন্ত প্রদত্ত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের যতটুকু অংশ সম্পন্ন করতে পারবে, তার ভিত্তিতে নমুনা প্রশ্নপত্রের আলোকে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ করতে পারবে।”
মাউশি বলছে, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিখনকালীন মূল্যায়ন ও বার্ষিক পরীক্ষা পরিচালনার জন্য সাধারণ নির্দেশনা ও বিষয়ভিক্তিক নির্দেশনায় প্রদত্ত সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি ও নমুনা প্রশ্নপত্র, মানবণ্টন ইতোমধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
তবে প্রদত্ত সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি
বা সিলেবাস যথাসম্ভব সম্পন্ন করে পরীক্ষা গ্রহণ করার বিষয়টিকেও সর্বোচ্চ বিবেচনায় নিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড-এনসিটিবি এক নির্দেশনায় বলেছিল, চলতি শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ৭০ নম্বরের প্রশ্নপত্রে তিন ঘণ্টার বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে, বাকি ৩০ নম্বর নির্ধারিত হবে শিখনকালীন মূল্যায়নের ওপর।
এনসিটিবি জানায়, শিক্ষার্থীদের এই মূল্যায়ন ২০২২ শিক্ষাক্রম অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের হাতে থাকা বর্তমান বইয়ের ওপর করা হবে।