বাবা সিদ্দিকি হত্যাকাণ্ড, লরেন্সের হুমকি, নিরাপত্তার চাদরে সালমান খান
ভারতের ব্যাপক আলোচিত বাবা সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডে রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে মুম্বাইয়ের প্রশাসন। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী অজিত পাওয়ারের দল এনসিপির নেতা বাবা সিদ্দিককে খুনের ঘটনায় মুম্বাইয়ের গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনার পর বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের বাড়ির নিরাপত্তাও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
ইতোমধ্যেই বাবা সিদ্দিকিকে খুনের দায় স্বীকার করেছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন।
শুধু তাই নয়, তার দাবি, সালমান খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার জেরেই খুন করা হয়েছে বাবা সিদ্দিকিকে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা এক পোস্টে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের পক্ষ থেকে দাবি করে লেখা হয়েছে, “ওম জয় শ্রীরাম, জয় ভারত। আমি জীবনের মর্ম বুঝি, সম্পদ ও দেহকে ধূলো বলে মনে করি। তাই বন্ধুত্বের কর্তব্যকে সম্মান জানিয়ে যা ঠিক তাই করেছি।
সালমান খান, আমরা এই যুদ্ধ চাইনি কিন্তু আপনার জন্য আমাদের ভাইকে প্রাণ হারাতে হয়েছে। আজ বাবা সিদ্দিকির ভদ্রতা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এক সময়ে তিনি মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যাক্ট-এর অধীনে ছিলেন দাউদের সঙ্গে এবং অনুজ থাপনের সাথে তার যোগসূত্র ছিল। বলিউড, রাজনীতি এবং দাউদের সঙ্গে মিলে সম্পত্তি বাড়ানোর যোগসূত্রই তার মৃত্যুর জন্য দায়ী।
কারও সঙ্গে আমাদের ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। তবে কেউ যদি সালমান খান বা দাউদ গ্যাংকে সাহায্য করে, তাহলে তাকে প্রস্তুত থাকতে হবে। কেউ যদি আমাদের কোনও ভাইকে খুন করে, আমরা জবাব দেবই। আমরা কখনোই প্রথমে আক্রমণের পথে হাঁটিনি। জয় শ্রী রাম, জয় ভারত, শহিদদের প্রণাম।”
অতঃপর বিষ্ণোই গ্যাংয়ের পক্ষ থেকে যে আবারও সালমান খানকেই হুমকি বার্তা দেওয়া হয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। আর এরপর থেকেই ভাইজানের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে পুলিশের তৎপরতাও।
কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলা থেকেই সালমানের সঙ্গে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের শত্রুতার সূত্রপাত। দীর্ঘকাল ধরে তাদের পক্ষ থেকে ভাইজানকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। চলতি বছরেও ভাইজানের বাড়ির সামনে গোলাগুলি করে দুষ্কৃতিকারীরা। তারপর থেকে সালমান খানের নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে দেয় মুম্বাই পুলিশ। আর বাবা সিদ্দিকির খুনের পর সালমানের উদ্দেশে করা বিষ্ণোই গ্যায়ের হুমকি বার্তার পর ভাইজানের নিরাপত্তা আরও একধাপ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। সালমান খানকে নিজের কাজের শিডিউলেও আনতে হচ্ছে পরিবর্তন।