‘ওর কোনও দোষ নেই’: এ আর রহমানের স্ত্রী সায়রা
গত কয়েক দিনে নেটপাড়া উত্তাল অস্কারজয়ী সুরকার এআর রহমানের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে। স্ত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে তাঁর ২৯ বছরের দাম্পত্য জীবন। রহমান নিজেও ভেবেছিলেন একসঙ্গে ৩০ তম বর্ষে পদার্পণ করবেন। কিন্তু তা আর হল কই। এর মাঝে নয়া গুঞ্জন রহমানের দলের বেসিস্ট মোহিনীকে ঘিরে। কারণ রহমানের বিবাহবিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আসার ঘণ্টা খানেকের মাথা তিনিও নিজের স্বামীর সঙ্গে যৌথ ভাবে ঘোষণা করেন, তাঁরা আলাদা হচ্ছেন। এর পর থেকে মোহিনী ও রহমানের মধ্যে যোগসূত্র খুঁজছেন অনেকে। ইতিমধ্যেই চেন্নাই ছেড়েছেন সায়রা বানু। মুম্বইয়ে রয়েছেন তিনি। এ বার স্বামীকে নিয়ে মুখ খুললেন সুরকারের প্রাক্তন স্ত্রী।
রহমান ও মোহিনীকে নিয়ে ক্রমাগত যে ধরনের তথ্য প্রকাশ্যে আসছে তাতে বিরক্ত পরিবার। ইতিমধ্যেই বাবার পাশে দাঁড়িয়েছেন ছেলেমেয়েরা। রহমান নিজেও এই ধরনের তথ্য মুছে ফেলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। নয়তো মানহানির মামলা করবেন তিনি। এ সবের মাঝে এ বার স্বামীর পাশে দাঁড়ালেন সায়রা। তিনি বলেন, ‘‘বেশ কয়েক দিন ধরেই আমি অসুস্থ। সেই কারণে চেন্নাই ছেড়ে মুম্বইয়ে এসেছি। আমি সব কিছু থেকে বিরতি নিতে চেয়েছিলাম আসলে। সমস্ত ইউটিউবার ও সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের অনুরোধ করছি রহমানের নামে কোনও খারাপ কথা বলবেন না। ওঁর কোনও দোষ নেই। ওঁর মতো মানুষ হয় না। আমার দেখা সেরা মানুষ।’’
শেষে সায়রা সংযোজন, তিনি কেবলই শারীরিক অসুস্থতার জন্য চেন্নাই ছেড়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমি জানতাম, আমি চেন্নাইতে না থাকলেই লোকজন ভাববে, সায়রা কোথা গেল? আসলে আমার চিকিৎসা চলছে। চেন্নাইতে রহমানের এত ব্যস্ততা থাকে যে, ওখানে থাকলে এটা সম্ভব হত না। আমি রহমান কিংবা ছেলেমেয়েদের বিরক্ত করতে চাইনি।”
এই বিচ্ছেদ নিয়ে এআর রহমানের স্ত্রীর আইনজীবী বন্দনা শাহ জানিয়েছেন, দীর্ঘ তিক্ততা এই বিচ্ছেদের নেপথ্য কারণ। উভয় পক্ষই আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন মিটিয়ে নিতে। কিন্তু তা আর সম্ভব নয়। ফলে দীর্ঘ দাম্পত্যের পর এই সিদ্ধান্ত নিতে যথেষ্ট কষ্ট হয়েছে তাঁর। কিন্তু সায়রা অপারগ। তাঁদের বিচ্ছেদের পর বিপুল অঙ্কের খোরপোশ পাবেন সায়রা, এই নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা কথা শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন মহলে।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা