নতুন প্রজন্মের মধ্যে ভ্যাপ ছড়িয়ে দেওয়াই তামাক কোম্পানিগুলোর লক্ষ্য
ভারতবর্ষ তো বটেই, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তামাক কোম্পানিগুলি ভীষণভাবে সক্রিয়। তামাক সেবন করার ফলে শরীরের একাধিক ক্ষতি হয়, তা জানার পরেও প্রাপ্তবয়স্ক এমন কি তরুণ প্রজন্ম তামাক খাওয়ার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। এবার পাশ্চাত্য দেশে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়েছে ভ্যাপস-এর চাহিদা, যা সিগারেটের বিকল্প হিসাবে বেশ ভালই জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া, খেলাধুলা, সংগীত জগতে সর্বত্র তামাক কোম্পানিগুলি ভীষণভাবে সক্রিয়। এবার নতুন প্রজন্মকে ভ্যাপস অফারের মাধ্যমে আকৃষ্ট করছে তামাক কোম্পানিগুলি। এটি ধূমপানের বিকল্প হিসাবে ভীষণভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে নতুন প্রজন্মের কাছে।
ডব্লিউএইচও এবং ইন্ডাস্ট্রি ওয়াচ ডগ স্টপ একটি যৌথ প্রতিবেদনে বলেছে, তামাকের বিকল্প হিসাবে যে পণ্যটি বাজার মাতিয়ে রেখেছে, সেগুলি ডিজাইন এবং ফলের স্বাদ আরও বেশি আকর্ষণ করছে, নতুন প্রজন্মকে। স্বাভাবিকভাবেই প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় অল্পবয়সী ছেলে মেয়েরা এটি ব্যবহার করতে চাইছে ব্যাপকহারে।
তামাক শিল্পকর্তা দাবি করেছেন, এই পণ্যটি কোনও ভাবেই ক্ষতি করবে না নতুন প্রজন্মের কিন্তু ডব্লিউএইচও পরিচালক তামাক শিল্পকর্তাদের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, এটি যতই কম ক্ষতিকারক হোক না কেন, এটি যখন বাচ্চাদের কাছে বিপণন করা হচ্ছে তখন ক্ষতি কম না বেশি, এই প্রসঙ্গে কথা বলা একেবারেই অযৌক্তিক।
একদিকে তামাক শিল্পের কর্মকর্তারা যেমন বলছেন, এটি বাবুল গামের মত স্বাদ হওয়ার কারণে প্রাপ্ত বয়স্ককরা এটি খেলে ধূমপান থেকে অনেকাংশে সরে থাকবেন। তেমন অন্যদিকে ডব্লিউএইচও বলছেন, যেহেতু এটি বাবুল গামের মত খেতে তাই তরুণ প্রজন্মরা অনেক বেশি আকৃষ্ট হবে এই পণ্যটির প্রতি।
প্রসঙ্গত, উভয় সংস্থারই লক্ষ্য হলো মানুষকে সিগারেট থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু এটি যদি শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বিক্রি করা হয় তবেই এই লক্ষ্য পূরণ হবে। ধূমপানের বিকল্প গুলি এমন হওয়া উচিত যাতে সেগুলি বৈজ্ঞানিকভাবে তামাক থেকে দূরে রাখতে পারে মানুষকে।
কম তামাকযুক্ত পণ্যের মাধ্যমে কখনও তামাক থেকে দূরে রাখা যায় না মানুষকে। এতে হয়তো ক্ষতির হার কমে যেতে পারে কিন্তু ন্যূনতম হলেও ক্ষতির হার থেকেই যায়।