চিয়াসিড ভালো, তবে বেশি খেলে যে ক্ষতিগুলো হতে পারে
চিয়াসিডের উপকারিতা আর গুণাগুণের কথা সবারই জানা। এটি এতই স্বাস্থ্যগুণ সম্পন্ন যে একে বলা হয় সুপারফুড। কিন্তু স্বাস্থ্যকর এই চিয়াসিড অতিরিক্ত খেলে বেশ কিছু জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
স্বাস্থ্য সচেতন প্রত্যেকেই তাদের ডায়েটে চিয়াসিড রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু পরিমান জানা খুবই জরুরি। কারণ, বিশেষজ্ঞরা বলেন, মাত্রাতিরিক্ত সব কিছুই স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। এই ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে অত্যধিক চিয়াসিড খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো তুলে ধরা হলো-
পাকস্থলীর সমস্যা: চিকিৎসকদের মতে ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো কিন্তু চিয়াসিডে বিদ্যমান অতিরিক্ত ফাইবার বদহজম, গ্যাস, বমি, ডায়রিয়াসহ পেটের অন্যান্য সমস্যার কারণ হতে পারে।
অ্যালার্জি: চিয়াসিড বেশি খাওয়ার ফলে অনেকেই অ্যালার্জির সম্মুখীন হতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে অত্যাধিক অ্যালার্জির কারণে ঠোঁট ফুলে যেতে পারে বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাও হতে পারে।
ক্যানসারের ঝুঁকি: চিয়াসিডে আলফা লিনোলিক অ্যাসিড (ALA) নামক ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে যে অ্যাসিড অত্যধিক পরমাণ গ্রহণের কারণে প্রোস্টেট ও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
রক্ত পাতলা: চিয়াসিডে থাকা ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রক্ত পাতলা করে দেয়। তাই নিয়মিত চিয়াসিড খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
নিম্ন রক্তচাপ: যাদের স্বাভাবিকভাবেই নিম্ন রক্তচাপ রয়েছে, তাদের চিয়াসিড এড়িয়ে চলাই উত্তম। কারণ, চিয়াসিড রক্তচাপ কমিয়ে দেয়, তবে যাদের উচ্চ রক্তচাপ, তারা পরিমিত পরিমাণে চিয়াসিড খেতে পারেন।
উচ্চ ক্যালোরি: চিয়াসিডে প্রচুর পরিমাণে চর্বি এবং ক্যালোরি রয়েছে। উচ্চ ক্যালোরিসম্পন্ন চিয়াসিড প্রতিদিন গ্রহণ করলে অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ করা হয়ে যায়। যা ডায়েট চার্ট পরিবর্তন করে দেয়।
অস্বাভাবিক ওজন হ্রাস: চিয়াসিড ওজন অস্বাভাবিকভাবে কমিয়ে দেয়, তাই এটি খাওয়ার সময় ওজনের খেয়াল রাখা উচিত।
প্রতিটি খাদ্যের ভালো ও মন্দ দিক আছে। তাই দৈনিক জীবনযাপনে কোনো কিছু্র পরিবর্তন করার সময় তার উপকারী ও ক্ষতিকর দিক জেনে নেওয়া উচিত। চিয়াসিডের উপকারিতা অনেক কিন্তু সেটা নির্ভর করছে কী মাত্রায় তা গ্রহণ করা হচ্ছে, তার ওপর। তাই খাদ্য তালিকায় কোনো নতুন কিছু যোগ করার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেয়া উচিত।