মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১ আশ্বিন ১৪৩১

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৫৪, ১ আগস্ট ২০২৪

হানিয়া হত্যার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলে সরাসরি হামলার নির্দেশ দিয়েছেন খামেনি

হানিয়া হত্যার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলে সরাসরি হামলার নির্দেশ দিয়েছেন খামেনি

হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইসরায়েলে সরাসরি হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে, যেখানে তিন ইরানি কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করা হয়েছে। এই কর্মকর্তাদের মধ্যে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) দুই সদস্যও রয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হানিয়ার মৃত্যুর খবর জানার পরপরই ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে খামেনি এই নির্দেশ দেন। ইরান ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস হানিয়া হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। তবে ইসরায়েল এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার বা অস্বীকার করেনি।

হানিয়া ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তেহরানে গিয়েছিলেন। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর তাঁর তেহরানের বাসভবনে একটি সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তিনি নিহত হন।

ইসরায়েল এর আগেও এ ধরনের গুপ্ত হামলা চালিয়ে ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানী ও সামরিক কমান্ডারদের হত্যা করেছে। গাজায় প্রায় ১০ মাস ধরে চলা যুদ্ধের পুরো সময় ইরান একটা ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করেছে, মিত্র বাহিনীগুলো দিয়ে ইসরায়েলে চাপ সৃষ্টি করলেও সরাসরি যুদ্ধ এড়িয়ে গেছে।

ইরানি কর্মকর্তারা জানান, ইরানের সামরিক কমান্ডাররা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে তেল আবিব ও হাইফার সামরিক লক্ষ্যস্থলগুলোতে হামলার পরিকল্পনা করছেন, তবে বেসামরিক লক্ষ্যস্থলে হামলা এড়াতে চাচ্ছেন।

প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইরান কেমন শক্তিপ্রয়োগ করবে তা এখনও পরিষ্কার নয়, তবে পরিস্থিতি নাজুক করে তোলা এড়াতে সবকিছু সতর্কভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। ইরান থেকে এবং ইয়েমেন, সিরিয়া ও ইরাকের মিত্র বাহিনীগুলো দিয়ে সমন্বিত আক্রমণ চালানো হবে কি না তাও বিবেচনা করা হচ্ছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বিষয়গুলোতে খামেনির কথাই শেষ কথা এবং তিনি দেশটির সশস্ত্র বাহিনীগুলোর সর্বাধিনায়ক। তিনি রেভল্যুশনারি গার্ড ও সেনাবাহিনীর সামরিক কমান্ডারদের একইসঙ্গে হামলা ও প্রতিরোধের পরিকল্পনা প্রস্তুত করতে বলেছেন, কারণ এতে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা হামলা চালাতে পারে এবং যুদ্ধের বিস্তৃতি ঘটতে পারে।

হানিয়ার মৃত্যু নিয়ে খামেনি বলেছেন, "হানিয়ার রক্তের বদলা নেওয়া আমাদের দায়িত্ব," কারণ হত্যাকাণ্ডটি ইরানের অভ্যন্তরে ঘটেছে। এর মাধ্যমে ইসরায়েল 'গুরুতর শাস্তি' পাওয়ার ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে।

ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান, অন্যান্য কর্মকর্তা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, গার্ডস এবং ইরানের জাতিসংঘ মিশন প্রকাশ্যে বলেছেন যে, ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেবে এবং সার্বভৌমত্বে সীমা লঙ্ঘনের জবাব দেওয়ার অধিকার তাদের আছে।

ইরান মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিস্তিনের হামাস, লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুতি এবং ইরাকের মিলিশিয়া বাহিনীকে সমর্থন দেয়। ইরান এবং এসব বাহিনী একত্রে নিজেদেরকে 'প্রতিরোধের অক্ষ' বলে। পেজেশকিয়ানের অভিষেক উপলক্ষে এই সবগুলো বাহিনীর নেতারা তেহরানে উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়