গালওয়ান সীমান্তেও বিভেদ নিরসনের উদ্যোগ নিচ্ছে ভারত ও চীন
গত মাসে পূর্ব লাদাখ থেকে সেনা সরানো শুরুর পর এবার গালওয়ান সীমান্তেও বিভেদ নিরসনের উদ্যোগ নিচ্ছে ভারত ও চীন। সাম্প্রতিক সময়ে বিরোধের জায়গা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত সুস্পষ্ট হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে মিলিত হবে দুই দেশ।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
এতে বলা হয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ডং জুনের সাথে দেখা করবেন। গত মাসে কয়েক দফায় ভারত ও চীনের সামরিক ও সরকারী পর্যায়ে এলএসি থেকে উভয় দেশের সেনা প্রত্যাহারের পর, প্রথম উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা হয়। এরপর দুদেশই ২০২০ সালের এপ্রিলের আগে পরিস্থিতির দিকে ফিরে যেতে সম্মত হয়েছে।
গত মাসে পূর্ব লাদাখে দুই সামরিক বাহিনী বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হবে এটি এবং ভারত গত সপ্তাহে ডেপসাং অঞ্চলে আবার টহল শুরু করেছে।
চীনা নৌবাহিনীর সাবেক কমান্ডার ডং গত বছরের ডিসেম্বরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান। এনডিটিভিতে সূত্র জানিয়েছে, রাজনাথ সিং ২০ নভেম্বর থেকে লাওসে আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে ডং-এর সাথে দেখা করবেন।
সবশেষ ২০২৩ সালের এপ্রিলের পর দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা বৈঠক করেন।
২০২০ সালের মে এবং জুনে মাসে দিল্লি এবং বেইজিং গালওয়ান এবং প্যাংগং হ্রদ এলাকায় সংঘাতের পরে ভাঙা সেতুগুলোর পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। ওই সময় দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছে। এরপর থেকে উভয় পক্ষই সেনা মোতায়েন বৃদ্ধি করে আসছে।
তবে গত মাসে রাশিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠক হয়। এছাড়া এবারের দীপাবলিতে উভয় সেনাবাহিনী মিষ্টি বিনিময়ও করেছে।
উল্লেখ্য, গত মাসে পূর্ব লাদাখ থেকে সেনা সরানো শুরু করে দিয়েছে ভারত ও চীন। রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস সম্মেলন শুরুর ঠিক আগে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর উত্তেজনা প্রশমনে দুই দেশের চুক্তি বা বোঝাপড়া অনুযায়ী এই উদ্যোগ শুরু হয়।