সবাইকে অবাক করে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করল ভারত
শব্দের গতির চেয়েও ৫ থেকে ২৫ গুণ বেশি গতিতে ছুটতে পারা ক্ষেপণাস্ত্রকে বলা হয় হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। পৃথিবীতে শুধু দুটি দেশ চীন এবং রাশিয়া এই ধরণের মারণাস্ত্র প্রকাশ্যে এনেছে। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ আরও অনেক দেশ এই প্রযুক্তি অর্জনের জন্য অনেকদিন ধরে চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে সকলকে অবাক করে দিয়ে এবার ভারত পরীক্ষা চালিয়ে ফেলেছে নিজেদের প্রথম হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রথমবারের মতো হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে তারা। শনিবার ওড়িশা রাজ্যের নিকটবর্তী ড. এপিজে আবদুল কালাম দ্বীপে ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়।
ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি এবং পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের সার্বিক দায়িত্ব ছিল ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অপর সংস্থা ড. এপিজে আবদুল কালাম মিসাইল কমপ্লেক্সের ওপর। এই সংস্থাটির সদর দপ্তর ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দ্রাবাদে অবস্থিত। এই দুই সংস্থা যুগ্মভাবে এর আগেও বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি ও পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে।
এদিকে শনিবার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় এ ঘটনাকে ভারতের ‘ঐতিহাসিক মাইলফলক’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্রটি হাইপারসনিক গতিতে ছুটে গিয়ে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এটি বিভিন্ন ধরনের পে-লোড বহন করতে পারবে এবং ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণের সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকর্তাসহ ডিআরডিও’র বিজ্ঞানীরা। এটির সফল উৎক্ষেপণ ভারতের সামরিক সক্ষমতার একটি মাইলফল বলে মনে করছেন দেশটির কর্মকর্তারা।