চীনে ৮৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের বিশাল সোনার খনি আবিষ্কৃত
বিশাল এক স্বর্ণখনির সন্ধান পেয়েছে চীন। দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ হুনানের পিংজিয়াং জেলার ওয়াঙ্গু গ্রামে সন্ধান মিলেছে এই খনির। প্রায় ৮৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অতি-বড় সোনার খনি আবিষ্কৃত হয়েছে দেশটিতে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া নতুন এই স্বর্ণখনির ২ হাজার মিটার গভীরতার মধ্যে ৪০টিরও বেশি গোল্ড ওর ভেইনস বা স্বর্ণের আকরিক ধমনী সন্ধান পাওয়া গেছে। স্বর্ণের খনিতে অনেক সময় পাথরের গা চিরে জমাট স্বর্ণের ধারা পরিলক্ষিত হয়ে, যা অনেকটা ধমনীর মতো। স্বর্ণের আকরিকসমৃদ্ধ গরম তরল বা লাভা পৃথিবীর ভূত্বকের ফাটল দিয়ে প্রবাহিত হলে গঠিত হয় স্বর্ণের আকরিক ধমনি।
চীনের ভূতত্ত্ববিদ এবং খনি বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে সিনহুয়া জানিয়েছে, নতুন এ খনিটির ৩ হাজার মিটার গভীরতার মধ্যে মজুত রয়েছে উচ্চ মানের ১ হাজার টনেরও বেশি স্বর্ণ, যার বর্তমান বাজারমূল্য কমপক্ষে ৮ হাজার ৩০০ কোটি ডলার।
খনিটি থেকে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে স্বর্ণ উত্তোলন। খনিটির আবিষ্কারক দলের অন্যতম সদস্য চেন রুলিন সিনহুয়াকে বলেন, খনিটির যে কোনো পাথর ভাঙা মাত্র সেটির ভেতরে আমরা স্বর্ণের ধমনি দেখতে পাচ্ছি। প্রতি টন আকরিকে গড়ে ১৩৮ গ্রাম বিশুদ্ধ স্বর্ণ মিলছে। এই পরিমাণ নেহায়েৎ মন্দ নয়।
আবিষ্কারক দলের উপপ্রধান লিউ ইয়োনজুন জানিয়েছেন, স্বর্ণ আহরণের ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন তারা।
করোনা মহামারির পর থেকে ডলারের মানে অস্থিরতা চলছে। ফলে বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে মূল্যস্ফীতি, যার প্রভাবে স্থিতিশীলতার অভাবে ভুগছে অর্থনীতি। এই অবস্থায় অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখতে অনেক দেশ স্বর্ণ ক্রয়ের দিকে ঝুঁকছে।
ফলে স্বর্ণের দামও বাড়ছে। চলতি বছর রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে স্বর্ণের মূল্য। অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, যদি ডলারের মানে স্থিতিশলীলতা না আসে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে স্বর্ণের দাম আরও বাড়বে।
যেসব দেশ থেকে বৈশ্বিক বাজারে সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ আসে, চীন তাদের মধ্যে অন্যতম। বৈশ্বিক স্বর্ণের বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে মোট চাহিদার দশ শতাংশ স্বর্ণ এসেছে চীন থেকে।