যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বিরুদ্ধে মামলা করল ফিলিস্তিনিরা
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রতি সহায়তা কমাতে বা অভিযুক্ত ইউনিটগুলোর সামরিক সহায়তা বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন পাঁচ ফিলিস্তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার মামলাটি করা হয়েছে। খবর আল জাজিরা ও দি গার্ডিয়ানের।
গাজা, অধিকৃত পশ্চিম তীর ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী পাঁচ ফিলিস্তিনি মামলাটি করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের গত শতকের ৯০-এর দশকের ‘লেহি আইন’–এর আওতায় মামলাটি করা হয়েছে। মামলায় বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নির্যাতনের মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘লেহি আইন পররাষ্ট্র দপ্তর চাইলে প্রয়োগ করতে পারত, কিন্তু তারা তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে নজিরবিহীনভাবে ইসরায়েলের (মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন) যেভাবে বেড়েছে, তা ভয়ংকর।’
গত বছরের অক্টোবরের শুরু থেকে গাজায় বোমবর্ষণ ও স্থল অভিযান পরিচালনা করছে ইসরায়েল। এ কারণে ৪৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ ও বিশ্বের প্রধান মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যাসহ নানা ধরনের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে।
গাজায় বসবাসকারী পেশায় শিক্ষক পরিচয়দানকারী মামলার একজন বাদীর ছদ্মনাম আমাল গাজা। এই নারী এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি এখন পর্যন্ত সাতবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ইসরায়েলি হামলায় তাঁর পরিবারের ২০ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘আমার দুঃখ-কষ্ট ও আমার পরিবারের অকল্পনীয় ক্ষতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে, যদি যুক্তরাষ্ট্র চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ইসরায়েলের ইউনিটগুলোর কাছে সামরিক সহায়তা দেওয়া বন্ধ করে।’
উল্লেখ্য, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজায় চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু তা সত্ত্বেও দেশটিকে অব্যাহতভাবে সামরিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
মামলার বিষয়ে জানতে আল–জাজিরার তরফে যোগাযোগ করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, বিচারাধীন মামলা নিয়ে তারা কোনো মন্তব্য করে না।