সোমবার   ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১৬ পৌষ ১৪৩১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

প্রকাশিত: ১১:১০, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

সরকারি শাটডাউন এড়াতে মধ্যরাতে মার্কিন হাউসে বিল অনুমোদন

সরকারি শাটডাউন এড়াতে মধ্যরাতে মার্কিন হাউসে বিল অনুমোদন

যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি শাটডাউন এড়াতে কেন্দ্রীয় সরকারকে অর্থায়নের বিল মধ্যরাতে অনুমোদন করেছে হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস। বিলটি এখন সিনেটে পাঠানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত হাউসের এই বিল অনুমোদন সরকারের কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়া ঠেকিয়েছে। খবর রয়টার্স।

এবার ডেমোক্র্যাট-নিয়ন্ত্রিত সিনেটকে বিলটি পাস করতে হবে, যাতে শনিবার বর্তমান অর্থায়নের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে সরকার নতুন অর্থায়নের মাধ্যমে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, সিনেট বিলটি পাস করলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এতে স্বাক্ষর করবেন।

এই বিলটি আগামী ১৪ মার্চ পর্যন্ত সরকারি অর্থায়নের মেয়াদ বাড়াবে এবং দুর্যোগে আক্রান্ত রাজ্যগুলোর জন্য ১০০ বিলিয়ন এবং কৃষকদের জন্য ১০ বিলিয়ন ডলার প্রদান করবে। তবে এই বিল ঋণসীমা বাড়াবে না।

হাউস স্পিকার মাইক জনসন বলেছেন, সরকারি ব্যয় প্রভাবিত করার জন্য রিপাবলিকানরা আগামী বছর আরো ক্ষমতা পাবে। কারণ, তারা উভয় কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে এবং ট্রাম্প থাকবেন হোয়াইট হাউসে।

সরকারি অর্থায়ন বন্ধ হয়ে গেলে আইন প্রয়োগ থেকে শুরু করে ন্যাশনাল পার্কের কার্যক্রম—সব কিছুই বিঘ্নিত হবে এবং লক্ষাধিক ফেডারেল কর্মীর বেতন বন্ধ হয়ে যাবে। ভ্রমণ সংশ্লিষ্ট একটি বাণিজ্য গোষ্ঠী সতর্ক করেছে, অর্থায়ন না হলে এয়ারলাইন্স, হোটেল এবং অন্যান্য কোম্পানিকে প্রতি সপ্তাহে ১ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে এবং ব্যস্ত ক্রিসমাস মৌসুমে ব্যাপক বিপাকে পড়বে মানুষ।

হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে দ্বিদলীয় ভোটাভুটিতে বিলটির পক্ষে ৩৬৬ এবং বিপক্ষে পড়েছে ৩৪ ভোট। এই সপ্তাহের শুরুতে ট্রাম্প এবং তার বিলিয়নিয়ার উপদেষ্টা ইলন মাস্কের তীব্র সমালোচনার মুখে আলোর মুখ দেখেনি বিলটি।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি তহবিলের মেয়াদ শেষ প্রান্তে। এ কারণে নতুন কোনো কার্যকর উদ্যোগ না নিলে দেশটির সরকার শাটডাউনের মধ্যে পড়বে। সরকারি তহবিল শেষ হয়ে গেলে আজ শনিবার থেকেই শাটডাউনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর অর্থ হলো— কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর নির্ভরশীল নানা কর্মসূচি ব্যাহত হবে। সরকারের বিভিন্ন বিভাগে অচলাবস্থা দেখা দেবে। বিমানবন্দরগুলোতে উড়োজাহাজ চলাচল ব্যাহত হয়ে আসন্ন বড়দিনের ভ্রমণ ব্যাহত হতে পারে। তা ছাড়া, ২০ লাখের বেশি সরকারি কর্মীর বেতন-ভাতা পরিশোধ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সামাজিক সুরক্ষা এবং মেডিকেয়ারের চেক বিতরণ চালু থাকলেও অন্যান্য সুবিধা স্থগিত হতে পারে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়