রোববার   ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ , ২২ পৌষ ১৪৩১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

প্রকাশিত: ১২:৪১, ৩ জানুয়ারি ২০২৫

এ বছরে বিটকয়েনের দাম ২ লাখ ডলার হতে পারে

এ বছরে বিটকয়েনের দাম ২ লাখ ডলার হতে পারে

বিশ্বের বৃহত্তম ও সর্বাধিক পরিচিত ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের দাম গত বছর দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। এ ধারা চলতি বছরও অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস দিচ্ছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। এমনও বলা যাচ্ছে, ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ বিটকয়েনের দাম ২ লাখ ডলার ছাড়াতে পারে। খবর রয়টার্স।

২০২৪ সালে মার্কিন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) স্পট মার্কেটে বিটকয়েন এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) কেনাবেচার অনুমোদন দিয়েছে। পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্রিপ্টোকারেন্সির পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পরিচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় ও নিয়ন্ত্রক বাধা সহজ হওয়ার সম্ভাবনায় ডিজিটাল মুদ্রাটির দাম বেড়ে যায়।

বিটকয়েন গত ডিসেম্বরের শুরুতে ১ লাখ ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করেছে। বছর শেষে কারেন্সিটির দাম বেড়েছে ১২০ শতাংশের বেশি। দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি ইথারের দাম বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। ক্রিপ্টোর বাজার বিশ্লেষক ওয়েবসাইট কয়েনগেকো জানিয়েছে, এতে পুরো ক্রিপ্টো খাতের বাজারমূল্য প্রায় ৩ দশমিক ৫ ট্রিলিয়নে পৌঁছেছে। ২০২৫ সালেও এ প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।

ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান বার্নস্টেইন বলছে, ‘আমাদের বিশ্বাস, ১ লাখ ডলার বিটকয়েনের চূড়ান্ত মাইলফলক নয়। ২০২৫ সালের শেষের দিকে বিটকয়েনের দাম ২ লাখ ডলারে পৌঁছবে বলে আশা করছি।’

মার্কিন করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাইক্রোস্ট্র্যাটেজি বিটকয়েনের বৃহত্তম ক্রেতা হয়ে উঠেছে। ২০২৪ সালে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম প্রায় পাঁচ গুণ বেড়েছে। সম্প্রতি নাসডাক-১০০ সূচকেও মাইক্রোস্ট্র্যাটেজি তালিকাভুক্ত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির কাছে থাকা বিটকয়েনের পরিমাণ এতই বেশি যে এটি ক্রিপ্টোকারেন্সিটির ‘প্রক্সি’ হয়ে উঠেছে। বেশকিছু ছোট কোম্পানি মাইক্রোস্ট্র্যাটেজির পথ অনুসরণ করে নগদ অর্থের একটি অংশ বিটকয়েনে বিনিয়োগ করছে।

বার্নস্টেইন জানিয়েছে, বিটকয়েন ভবিষ্যতে নতুন প্রজন্মের সম্পদ সংরক্ষণে প্রধান মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। এটি পরবর্তী দশকে স্বর্ণকে প্রতিস্থাপন করবে এবং করপোরেট ট্রেজারি ব্যবস্থাপনার একটি মানদণ্ড হয়ে উঠবে।

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন প্রথমবারের মতো বিটকয়েনের স্পট ইটিএফ অনুমোদন করে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি ক্রিপ্টো ইন্ডাস্ট্রির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ছিল। এর মাধ্যমে ক্রিপ্টোর প্রাতিষ্ঠানিক বৈধতা ও মূলধারায় গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত হয়েছে। ব্ল্যাকরক ও ফিডেলিটির মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এ ধরনের আর্থিক পণ্য বাজারে নিয়ে আসছে।

ট্রাম্পের নির্বাচনী বিজয়ও ক্রিপ্টো ইন্ডাস্ট্রির জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রকে পৃথিবীর ক্রিপ্টো রাজধানী বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। নির্বাচনে ক্রিপ্টো ইন্ডাস্ট্রির সমর্থকরা প্রার্থীদের প্রচারণায় লাখ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছিলেন।

২০২৪ সালে ক্রিপ্টো খাতে সবচেয়ে বেশি লাভবানদের মধ্যে আছে মাইক্রোস্ট্র্যাটেজি, ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ কয়েনবেস ও বিটকয়েন মাইনিং কোম্পানি হাটএইট। অন্যদিকে অতিরিক্ত জ্বালানি ও হার্ডওয়্যার খরচের কারণে কিছু ক্রিপ্টো মাইনিং কোম্পানি যেমন রায়ট প্লাটফর্মস, ম্যারাথন ডিজিটাল ও বিট ডিজিটালের মুনাফা কমে গেছে। ফলে তাদের শেয়ারের দাম ২৬-৩২ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়