রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ২৩ ভাদ্র ১৪৩১

বিবিসি

প্রকাশিত: ০৯:০৯, ১৫ এপ্রিল ২০২৪

কেন অপ্রতিরোধ্য কিশোর গ্যাং?

কেন অপ্রতিরোধ্য কিশোর গ্যাং?

 


বাংলাদেশে কিশোর গ্যাং যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে৷ ধারাবাহিক গ্রেপ্তার অভিযানের পরও তাদের থামানো যাচ্ছে না৷ বিভিন্ন ঘটনায় কিশোর গ্যাং-এর নেপথ্যে প্রভাবশালীদের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠছে৷


বিভিন্ন পক্ষের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আধুনিক প্রযুক্তি, পারিবারিক ও সামাজিক কারণ ছাড়াও কিশোর গ্যাং-এর বিস্তারের পেছনের গডফাদাররাও দায়ী৷ তারা এই কিশোরদের চাঁদাবাজি, জমি দখল, প্রভাব বিস্তার ও মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে কাজে লাগান এবং অস্ত্র ও অর্থ সরবরাহ করেন৷ পুলিশের হাতে ধরা পড়লে জামিনে ছাড়িয়ে আনেন৷ চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাং-এর হাতে এক চিকিৎসক নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ীদের মদদদাতা হিসেবে ছাত্রলীগ নেতার জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে৷

চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাং-এর গডফাদার ছাত্রলীগ নেতা

চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাং-এর হাত থেকে নিজের ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে গত ১০ এপ্রিল হামলার শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান চিকিৎসক কোরবান আলী৷ গত ৫ এপ্রিল বিকালে চট্টগ্রামের আকবরশাহ এলাকার পশ্চিম ফিরোশাহ হাউজিং-এলাকা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন তার ছেলে আলী রেজা৷ তিনি তখন দেখেন দুই স্কুল ছাত্রকে কিশোর গ্যাং-এর সদস্যরা মারধর করছেন৷ মারধরের শিকার দুই স্কুল ছাত্র তাকে দেখে সহায়তা চান৷ তখন তিনি ওই স্কুল ছাত্রদের বাঁচাতে পুলিশের ৯৯৯-এ ফোন করেন৷ ফোন পেয়ে পুলিশ এসে একজনকে ধরে নিয়ে যায়৷ ওই দিন সন্ধ্যায় তিনি (আলী রেজা)  ইফতারি কিনতে বাসা থেকে বের হন৷ তখন কিশোর গ্যাং-এর সদস্যরা একা পেয়ে তার ওপর হামলা চালায়৷ ছেলেকে মারধরের খবর পেয়ে তাকে রক্ষা করতে ছুটে যান তার বাবা দন্ত চিকিৎক কোরবান আলী৷ তখন কিশোর গ্যাং-এর সদস্যরা তার ওপরও হামলা চালায়৷ তারা ওই চিকিৎসকের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করায় তিনি গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন৷ হাসপাতালে নেয়ার পর আইসিইউতে রেখে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়৷ ১০ এপ্রিল তিনি মারা যান৷

এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত কিশোর গ্যাং-এর সদস্যরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী বলে জানা গেছে৷ হামলার পর ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রসুল নিশান ও কিশোর গ্যাং-এর ১১ সদস্যকে আসামি করে মামলা হয়েছে৷ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাস রাব্বানী ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘আমরা এরইমধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে আটক করেছি৷ ছাত্রলীগ নেতাকে এখানো আটক করতে পারিনি৷ মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়েছে৷’’

তিনি বলেন, ‘‘ছাত্রলীগ নেতা নিশান এই গ্রুপটি পরিচালনা করতেন৷ গ্রুপটির মাধ্যমে সে ওই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও নানা অপরাধ করাতো বলে আমরা তথ্য পেয়েছি৷’’

এদিকে নিহত কোরবান আলীর ছেলে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আলী রেজা জানান, ‘‘যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে তারা মূল আসামি নয়৷ মূল আসামি ছাত্রলীগ নেতা নিশানসহ অন্যরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি৷’’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘হামলার পর ওই দিন রাতে আমি যখন থানায় মামলা করতে যাই তখন ছাত্রলীগ নেতা নিশানও থানায় ছিলো৷ কিন্তু পুলিশ তাকে তখন আটক করেনি৷ আমার মনে হয় আমি বাবা হত্যার ন্যায়বিচার পাব না৷’’

তিনি বলেন, ‘‘ছাত্রলীগ নেতা নিশান এলাকায় গত ৫-৮ বছর ধরে কিশোর গ্যাং পরিচালনা করে আসছে৷ ওই কিশোরদের দিয়ে সে মাদক-ব্যবসা, চাাঁদাবাজি, দখলসহ নানা অপকর্ম করিয়ে আসছে৷ তার পরিবার রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ ভয়ে মুখ খুলতো না৷’’

আলী রেজা জানান তারা দুই ভাই, এক বোন৷ মা ক্যানসার আক্রান্ত৷ বাবাকে হত্যার পর এখন অসহায় অবস্থায় পড়েছে পরিবারটি৷

কিশোর গ্যাং ও ‘বড় ভাই'

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) একজন কর্মাকর্তা জানান, সম্প্রতি  পুলিশ ও র‍‍্যাব চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের একটি তালিকা করেছে৷ তাদের তালিকা মতে চট্টগ্রাম শহরে ২০০ কিশোর গ্যাং সক্রিয়৷ এসব দলে পাঁচ থেকে ২০ জনের সদস্য আছে৷ কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতারা৷ আছেন ওয়ার্ড কাউন্সিলররা৷ তারা চট্টগ্রাম শহরে কিশোর গ্যাং-এর এমন ৬৪ জন ‘বড় ভাই' চিহ্নিত করেছেন৷

পুলিশ ঢাকায় কমপক্ষে ৮০টি বড় ধরনের কিশোর গ্যাং থাকার কথা বলছে৷ এছাড়া আরো ছোটোখাটো অনেক কিশোর গ্যাং আছে৷ ঢাকার কমপক্ষে ২১ জন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কিশোর গ্যাং-কে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার অভিযোগ আছে৷

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, ‘‘তাদের যারা ব্যবহার করে তারাই নতুন নতুন গ্রুপ তৈরি করে৷ এক গ্রুপ আটক হলে আরেক গ্রুপের জন্ম হয়৷'' তিনি বলেন, ‘‘শুরুতে কিশোর গ্যাং ধনীদের কিশোর সন্তানরা ফ্যান্টাসি থেকে তৈরি করতো৷ এখন এটা সব পর্যায়ে৷ আমরা এখন কিশোর ছিনতাইকারী গ্রুপও পাচ্ছি৷’’

২০২২ সালের শুরুর দিকে সারাদেশের কিশোর গ্যাং নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তর একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছিলো৷ তাতে সারাদেশে কমপক্ষে ১৭৩টি কিশোর গ্যাং-এর কথা বলা হয়েছিলো৷ বিভিন্ন অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে সারাদেশে মামলা হয় ৭৮০টি৷ এসব মামলায় আসামি প্রায় ৯০০ জন৷ তখন রাজধানী ঢাকায় কিশোর গ্যাং ছিল ৬৬টি, চট্টগ্রামে ৫৭টি৷ মহানগরের বাইরে ঢাকা বিভাগে ২৪টি গ্যাং৷ বেশির ভাগ বাহিনীর সদস্য ১০ থেকে ৫০ জন৷ তবে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, গত দুই বছরে কিশোর গ্যাং-এর সংখ্যা সারাদেশে দুই গুণেরও বেশি হয়েছে৷

কিশোর গ্যাং-এর নৃশংসতার উদাহরণ চট্টগ্রামের চিকিৎসককে হত্যা৷ কিন্তু প্রায় প্রতিদিনই কিশোর গ্যাং-এর সদস্যরা ঢাকাসহ সারাদেশে হত্যাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে৷ পুলিশের হিসাব বলছে, ২০২৩ সালে শুধু রাজধানী ঢাকায় কিশোর গ্যাং-এর হাতে ২৫ জন নিহত হয়েছেন৷ ২০২২-২৩ দুই বছরে তাদের হাতে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মাহানগর গোয়েন্দা বিভাগ৷

ঢাকার অদূরে সাভারের আরাপাড়ার বালুর মাঠ এলাকায় ১২ এপ্রিল রাতে সাজ্জাদ হোসেন নামে এক রং মিস্ত্রিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে কিশোর গ্যং-এর সদস্যরা৷ তিনি ওই এলাকায় কিশোর গ্যাং-এর সদস্যদের আড্ডা দিতে বারণ করেছিলেন৷ এটা নিয়ে কথা কাটাকটি হওয়ায় কিশোর গ্যাং-এর এক সদস্যকে চড় মারেন সাজ্জাদ৷ এরপর তারা সেখান থেকে চলে গিয়ে দল ভারি করে ফিরে এসে সাজ্জাদকে হত্যা করে৷ জানা গেছে, ওই কিশোররা স্থানীয় একজন যুবলীগ নেতার অনুসারী৷

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি শেরপুর জেলার শ্রীবরদি এলাকায় বিপ্লব হাসান নামে একজন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে হত্যা করে কিশোর গ্যাং-এর সদস্যরা৷ কথা কটাকাটির জের ধরে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়৷

গত ২৩ ফেব্রুয়ায়ারি ভোলার দৌলতখান উপজেলায় মোহাম্মদ রাব্বী নামে একজন কলেজ শিক্ষার্থীকে হত্যা করে কিশোর গ্যাং-এর সদস্যরা৷ কিশোর গ্যাং-এর সদস্যরা তার জুনিয়র হওয়ায় তাদের গুরুত্ব না দেয়ায় রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ৷

গত বছরের ২৪ আগস্ট ঢাকার দক্ষিণখান এলাকায় কিশোর গ্যাং-এর সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে রাফসান নামে ১৭ বছরের এর কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়৷ এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তখন আরেক কিশোরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ পুলিশ জানিয়েছে, সিগারেট খাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে৷

ওই বছরের ১৭ মে ঢাকার মিরপুরে এক স্কুল ছাত্রকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে কিশোর গ্যাং-এর সদস্যরা৷ কিশোর গ্যাং-এ যুক্ত হতে না চাওয়ায় সিয়াম (১৪) নামের ওই কিশোরকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশ তখন জানায়৷ নিহত কিশোরের পরিবারের অভিযোগ, ওই কিশোর গ্যাং-এর পেছনে প্রভাবশালীরা জড়িত৷ পুলিশ আট জনের বিরুদ্ধে মামলা নিলেও প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়নি৷

সমস্যা কোথায়?

পুলিশ জানায় প্রায় ১৬ বছর আগে ঢাকার উত্তরা এলাকায় কিশোর গ্যাং-এর তৎপরতা প্রথম নজরে আসে৷ এরপর তা আর থামেনি৷ সেই কিশোর গ্যাং এখন ঢাকাসহ সারাদেশে এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে৷ হত্যা থেকে শুরু করে এমন কোনো অপরাধ নেই যাতে কিশোর গ্যাং-এর সদস্যরা জড়িত নয়৷ তাদের এই অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে৷ 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) একজন কর্মকর্তা জানান, ‘‘কিশোর গ্যাংগুলোর নেপথ্যে আছে প্রভাবশালীরা৷ বিশেষত রাজনৈতিক নেতা এবং হোয়াইট কলার ক্রিমিন্যালরা কিশোর গ্যাং-এর নেপথ্যে থাকে৷ তারা তাদের রাজনৈতিক শো-ডাউন থেকে শুরু করে নানা অপকর্মে এইসব গ্যাংকে কাজে লাগায়৷ অস্ত্র দেয়, অর্থ দেয়৷ ফলে গ্যাং-এর সদস্যরাও নিজেদের ক্ষমতাধর মনে করে এবং কাউকে পরোয়া করতে চায় না৷ জড়িয়ে পড়ে নানা অপরাধে৷’’

ডিএমপি গত দুই মাসে রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং-এর কমপক্ষে ২০০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে৷ গত মার্চ মাসে দুই দিনের ধারাবাহিক অভিযানে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করে তারা৷ তারপর তাদের সংখ্যা কমছে না৷নতুন নতুন গ্রুপ তৈরি হচ্ছে৷

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘‘আমরা তো চেষ্টা করছি৷ কিন্তু আইন প্রয়োগ তো সর্বশেষ স্তর৷ শুধু আইন প্রয়োগ করে এই কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না৷ এখানে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব আছে৷ আমাদের নানা ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে৷ এই সময়ে কিশোরার অনলাইনে অনেক কিছু দেখে৷ ফেসবুকের মাধ্যমে সংগঠিত হয়৷ তাদের খেলার মাঠ নাই, বিনোদনের ব্যবস্থা নাই৷এগুলো দেখতে হবে৷আর দেশের ছয়টি কিশোর সংশোধানাগারে এক হাজার  ১০০ কিশোরকে জায়গা দেয়া যায়৷ কিন্তু দেশে ওই বয়সের ছেলে-মেয়ে আছে সাড়ে চার কোটি৷’’

তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘একটি মহল এই কিশোরদের ব্যবহার করছে সত্য৷ কিন্তু তাদের আইনের আওতায় আনা প্রচলিত আইনে বেশ কঠিন৷ কারণ তাদের জড়িত থাকা তো আদালতে প্রমাণ করতে হবে৷’’

আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক এবং কিশোর অপরাধ বিষয়ক গবেষক শেখ হাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘কিশোরদের নানা অপরাধে কাজে লাগানো সহজ৷ ফলে সমাজের প্রভাবশালী একটি গোষ্ঠী বিশেষ করে কাউন্সিলর, নির্বাচিত জন প্রতিনিধি তাদের ব্যবহার করছে৷ কারণ ভাড়াটে অপরাধী ব্যবহার করা অনেক খরচের ব্যাপার৷’’

তবে তিনি মনে করেন, ‘‘কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আমাদের সমাজ ও পরিবার থেকে কাজ করতে হবে৷এর মূল অনেক গভীরে৷ বিশেষ করে এখন যে ডিজিটাল যুগ তাতে আমাদের অনেক বিষয় নিয়ে কাজ করার আছে৷’’

পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে বাংলাদেশের স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী কিশোর গ্যাং নিয়ে কথা বলেছেন৷ গত ৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিশোর গ্যাং মোকাবিলার জন্য বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন৷ এক্ষেত্রে সবাইকে যুক্ত হতে বলেছেন৷ তিনি বলেছেন, অন্য অপরাধীদের মতো নয়, তাদের (কিশোর গ্যাং) ক্ষেত্রে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে৷ কিশোর অপরাধীরা যেন সংশোধনের সুযোগ পায় সেজন্য কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে৷

সর্বশেষ

জনপ্রিয়