রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ২৩ ভাদ্র ১৪৩১

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:২০, ৩০ জুন ২০২৪

আপডেট: ১০:২৪, ৩০ জুন ২০২৪

ফিরল ২০১১-র রাত! ঘুমাল না ভারত, শাপমোচনের উচ্ছ্বাসে ভাসল সারাদেশ

ফিরল ২০১১-র রাত! ঘুমাল না ভারত, শাপমোচনের উচ্ছ্বাসে ভাসল সারাদেশ

শাপমোচনের রাতে ভারত ঘুমাল না। জেগে থাকল দেশ। ১১ বছরের খরা কাটিয়ে টিম ইন্ডিয়া আইসিসি ট্রফি জেতায় বাঁধনহারা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ল কলকাতা থেকে হায়দরাবাদ। মানুষ নাচলেন, পতাকা ওড়ালেন, কাঁদলেন, উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন।


ফিরল সেই ২০১১ সালের স্মৃতি। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, জসপ্রীত বুমরাহ, হার্দিক পান্ডিয়ারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততেই বাঁধনহারা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ল ভারত। সেই ২০১১ সালের ২ এপ্রিলের মহাকাব্যিক রাতের মতো মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে এলেন। নাচলেন, উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন, কাঁদলেন। তবে ২০১১ সালের থেকে উচ্ছ্বাসের মাত্রাটা এবার সম্ভবত আরও বেশি ছিল। কারণ ২০২৪ সালের বিশ্বকাপটা শাপমোচনের বিশ্বকাপ। ১১ বছর ধরে আইসিসি ট্রফি না পাওয়া একটা দেশের শাপমুক্তির বিশ্বকাপ এটা। সাত মাস আগে ১৯ নভেম্বর ১৪০ কোটি মানুষের যে হৃদয়টা ভেঙে গিয়েছিল, সেটা ফের জুড়ে গেল।

লাগামহীন উচ্ছ্বাস কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গে

হার্দিক পান্ডিয়ার শেষ বলটায় যখন এক রান নিল দক্ষিণ আফ্রিকা, তখন ঘড়ির কাঁটা বলছে রাত ১১ টা ৩৩ মিনিট। আর তারপরই লাগামহীন উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ল কলকাতা-সহ পুরো পশ্চিমবঙ্গ। কার্যত হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়া বিশ্বকাপটা জেতার পরে ছোটখাটো শোভাযাত্রার মতো বের করা হয়। ছোট, বড়, বৃদ্ধ, প্রবীণ - কেউ কোনও কিছুর তোয়াক্কা করেননি। ভারতের জয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে থাকেন। নাচতে থাকেন কেউ-কেউ।

একইভাবে ভারত ফাইনাল জিততেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন নদিয়ার মানুষ। ভারতের পতাকা হাতে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। আবেগে অনেকে কেঁদেও ফেলেন। নাচতে থাকেন। একই ছবি ধরা পড়ে বীরভূমের সিউড়িতে। জামা খুলে নাচতে থাকেন অনেকে। রাত ১২ টা পেরিয়ে গিয়েও চলে সেই উচ্ছ্বাস।

তেরঙা নিয়ে রাস্তায় দৌড় হায়দরাবাদে

ভারত বিশ্বকাপ জিততেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে হায়দরাবাদ। রাস্তায় তেরঙা নিয়ে দৌড়াতে থাকেন অনেকে। ফাটানো হয় আতসবাজি। দেখে মনে হচ্ছিল, যেন দীপাবলি এসে গিয়েছে। মুহূর্মুহূ বাজি ফাটানো হতে থাকে। রাস্তার মধ্যেই চলতে থাকেন নাচ-গান।

ইন্ডিয়া গেটে সেলিব্রেশন

ভারত বিশ্বকাপ জিততেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন দিল্লির মানুষ। ঘড়ির কাঁটায় মধ্যরাত পেরিয়ে গেলেও চলে বাঁধনহারা উচ্ছ্বাস। কেউ গাড়ির বনেটে দাঁড়িয়ে তেরঙা ওড়াতে থাকেন। কেউ গাঁড়ির মাথায় দাঁড়িয়ে ঢোল বাজাতে শুরু করে দেন। কেউ-কেউ আবার শাপমুক্তির আনন্দে নাচতে থাকেন মানুষ। রাস্তা পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তাতে কেউ এতটুকুও উষ্মাপ্রকাশ করেননি। বরং সকলেই একসুরে বলতে থাকেন, ‘ইন্ডিয়া….ইন্ডিয়া….ইন্ডিয়া….।’

তারইমধ্যে কয়েকজন আবার ‘জয় শ্রীরাম’ এবং ‘হর হর মোদী’ স্লোগান তোলেন বলে দাবি করেন দিল্লি বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়ায় যৌথ প্রধান অঙ্কিত জৈন। তিনি একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। তাতে দেখা যায়, কয়েকজন যুবক ‘জয় শ্রীরাম’ এবং ‘হর হর মোদী’ স্লোগান দিতে থাকেন। সেইসঙ্গে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে থাকেন তাঁরা।

'চক দে ইন্ডিয়া'- জমিয়ে সেলিব্রেশন জম্মুতে

শাহরুখ খানের সিনেমা 'চক দে ইন্ডিয়া'-র গান চালিয়ে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন জম্মুর মানুষ। আতসবাজি পোড়ানো হতে পারে। একেবারে স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো রাস্তা। যাঁরা গাড়িতে ছিলেন, তাঁরা নেমে নাচতে থাকেন। যাঁরা আশপাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাঁরাও উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন।

 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়