রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ২৩ ভাদ্র ১৪৩১

প্রকাশিত: ০১:০৩, ২ জুলাই ২০২৪

আপডেট: ০১:০৪, ২ জুলাই ২০২৪

বেলজিয়ামকে হারিয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্স

বেলজিয়ামকে হারিয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্স

ম্যাচজুড়ে আক্রমণে ছড়ি ঘোরাল ফ্রান্স। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের পরীক্ষা যদিও সেভাবে নিতে পারল না তারা। শেষ দিকে ভাগ্যের ছোঁয়ায় মিলল গোল। বেলজিয়ামকে হারিয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠল দিদিয়ে দেশমের দল।

ডুসেলডর্ফে সোমবার শেষ ষোলোর ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছে দুবারের ইউরো জয়ীরা। আত্মঘাতী গোল করেন বেলজিয়ামের ডিফেন্ডার ইয়ান ভার্টোনেন।

বিস্ময়কর হলেও সত্যি, শেষ আটে উঠে গেলেও ‘ওপেন প্লে’ থেকে আসরে এখনও গোল করতে পারেনি ফ্রান্স!

চার ম্যাচে ফরাসিরা নিজেরা গোল করতে পেরেছে মাত্র একটি, গ্রুপ পর্বের শেষ রাউন্ডে পোল্যান্ডের বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে। প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী গোল পেয়েছে তারা দুটি।

বড় টুর্নামেন্টে (বিশ্বকাপ, ইউরো) বেলজিয়ামের বিপক্ষে ফ্রান্সের জয়ের ধারা অব্যাহত রইল, পাঁচ ম্যাচের সবগুলোই জিতল তারা।

শুরু থেকে আক্রমণে ফ্রান্স এগিয়ে থাকলেও উল্লেখযোগ্য সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না কেউই। একাদশে ফেরা অঁতোয়ান গ্রিজমান দশম মিনিটে শট নেন বক্সের বাইরে থেকে, তবে অনায়াসে ঠেকান গোলরক্ষক। দুই মিনিট পর বক্সের ভেতর থেকে উড়িয়ে মারেন কিলিয়ান এমবাপে।

২৪তম মিনিটে ফ্রান্সের বক্সের বাইরে জেরেমি ডোকুকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন গ্রিজমান। কেভিন ডে ব্রুইনের ফ্রি-কিক শেষ মুহূর্তে পা দিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক মাইক মিয়াঁ। তিন মিনিট পর বেলজিয়ামের ইয়ানিক কারাসকোর শট প্রতিহত হয় ডিফেন্ডার থিও এরনঁদেজের গায়ে লেগে।

৩৪তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পান ফ্রান্সের মার্কাস থুরাম, ডান দিক থেকে জুল কুন্দের ক্রসে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি। প্রথমার্ধের শেষ দিকে একটি সুযোগ পান অহেলিয়া চুয়ামেনি, উড়িয়ে মেরে হতাশ করেন রেয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডার।

প্রথমার্ধে গোলের জন্য ৯টি শট নিয়ে একটি লক্ষ্যে রাখতে পারে ফ্রান্স, বেলজিয়াম শটই নিতে পারে স্রেফ একটি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বক্সের বাইরে থেকে চুয়ামেনির শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান বেলজিয়ান গোলরক্ষক কোয়েন কাস্তেলস। ৫৪তম মিনিটে প্রতিপক্ষের দুইজনের বাধা এড়িয়ে এমবাপের নেওয়া শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়।

৬১তম মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পেয়ে যায় বেলজিয়াম। ডে ব্রুইনের থ্রু বল ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন কারাসকো, তার প্রচেষ্টা স্লাইডে ব্যর্থ করে দলকে বাঁচান এরনঁদেজ। ৭১তম মিনিটে রোমেলু লুকাকুর নিচু শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক মিয়াঁ।

ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে যাবে বলেই মনে হচ্ছিল। তবে নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট বাকি থাকতে ভাঙে ‘ডেডলক।’ সতীর্থের পাস বক্সে পেয়ে একটু জায়গা বানিয়ে ডান পায়ে কোনাকুনি শট নেন দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা রান্দাল কোলো মুয়ানি, বল ভার্টোনেনের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়, কিছুই করার ছিল না গোলরক্ষক কাস্তেলসের, তিনি আগেই ঝাঁপ দেন অন্য দিকে।

ওই গোলে শেষ পর্যন্ত ফ্রান্সের জয় মিলল ঠিকই, তবে আক্রমণভাগের বিবর্ণতা কাটল না এখনও। সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে পর্তুগাল অথবা স্লোভেনিয়ার মুখোমুখি হবে দুবারের বিশ্বকাপ জয়ীরা।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়