বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২০:১৮, ২৪ আগস্ট ২০২৪

রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি, তামিমকে ছাড়িয়ে মুশফিক

রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি, তামিমকে ছাড়িয়ে মুশফিক

মাইলফলক উদযাপনে অনেক সময়ই অনেক কিছু করতে দেখা যায় মুশফিকুর রহিমকে। তবে এবারের মতো খ্যাপাটে উদযাপন মনে হয় কমই দেখা গেছে আগে! কেন এমন উদযাপন, তা হয়তো মুশফিক জানাতে পারেন দিন শেষে। তবে ইনিংসটি তার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে নিশ্চিতভাবেই। পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ধৈর্য, নিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলা আর স্কিলের মিশেলে দারুণ এক সেঞ্চুরি উপহার দিলেন ৩৭ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।

পাকিস্তানের বিপক্ষে সাত টেস্ট তার প্রথম সেঞ্চুরি এটি। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটেও এই সেঞ্চুরি একটি মাইলফলক। দেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে বিদেশের মাঠে ৫টি টেস্ট সেঞ্চুরি করলেন মুশফিক!

হ্যাঁ, বাংলাদেশের হয়ে দেশের বাইরে সবচেয়ে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরির রেকর্ড এখন মুশফিকের একার। ৬৮ ইনিংসে ৫ সেঞ্চুরি করলেন তিনি। ৫৯ ইনিংসে ৪ সেঞ্চুরি করা তামিম ইকবাল নেমে গেলেন দুইয়ে।

মুশফিকের এই ৫ সেঞ্চুরি আবার ভিন্ন ৫ দেশে- ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নিউ জিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

দেশ-বিদেশ মিলিয়ে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি শতরানের তালিকায়ও তামিমকে ছাড়িয়ে গেছেন মুশফিক। ১৬৪ ইনিংসে তার সেঞ্চুরি এখন ১১টি। ১৩৪ ইনিংসে ১০টি সেঞ্চুরিতে থমকে আছে তামিমের ক্যারিয়ার, যেটা আবার শুরু করার সম্ভাবনা সামান্যই।

১১৫ ইনিংসে ১২ সেঞ্চুরিতে সবার ওপরে মুমিনুল হক। দেশের বাইরে তার সেঞ্চুরি কেবল একটিই।

মুশফিকের মাইলফলকের শেষ নয় এখানেই। এই ইনিংসের পথেই দেশের দ্বিতীয় ব্যাটম্যান হিসেবে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পূর্ণ করেছেন ১৫ হাজার রান। তামিম ইকবাল করেছেন ১৫ হাজার ১৯২ রান। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের লাঞ্চ বিরতিতে ১০১ রানে অপরাজিত থাকার সময় মুশফিকের রান ১৫ হাজার ৬৯।

নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কারণে পাকিস্তানে সবশেষ সফরে যাননি মুশফিক। সেখানে তার প্রথম টেস্ট এটিই। সেই উপলক্ষ তিনি রাঙিয়ে রাখলেন দারুণ ইনিংস খেলে।

এই টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতির জন্য ম্যাচের ঠিক আগে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে পাকিস্তান শাহিনসের (এ দল) বিপক্ষে আনঅফিসিয়াল টেস্টে খেলেন মুশফিক। সেই ম্যাচের একমাত্র ইনিংসে আউট হয়ে যান তিনি ১৪ রান করে। তবে ৪৯ মিনিট যে ক্রিজে কাটিয়েছিলেন, এটা নিশ্চয়ই তাকে সহায়তা করেছিল এই আলো-হাওয়ায় মানিয়ে নিতে।

টেস্টের তৃতীয় দিনে শুক্রবার ক্রিজে গিয়েছিলেন মুশফিক। শুরুটা বেশ সাবলিল ছিল তার। পরে সময় নিয়ে ইনিংস গড়ায় মনোযোগ দেন। বিশেষ করে, আরেকপ্রান্তে লিটন কুমার দাস গিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করার পর মুশফিক আরও আরও মন দেন একপ্রান্ত আগলে রাখায়।

লিটন ফিফটি করেছিলেন ৫২ বলে, মুশফিকের লাগে ১০৪ বল। ৫৫ রান নিয়ে দিন শেষ করে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।

শনিবার নতুন দিনের শুরুটাও একই তালে করেন মুশফিক। আরেকপ্রান্তে লিটন বিদায় নিলেও মুশফিকের মনোযোগে চিড় ধরেনি। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, দিনের প্রথম বাউন্ডারি মারেন তিনি ২০তম ওভারে! মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে জুটিতে এগিয়ে নেন দলকে।

খুররাম শাহজাদের ওভারে দুটি বাউন্ডারির পর শাহিন আফ্রিদির বলে চার মেরে নব্বইয়ের কাছাকাছি যান তিনি। অনিয়মিত স্পিনার সাইম আইয়ুবকে টানা দুটি বাউন্ডারিতে পৌঁছে যান শতরানের কাছে। এরপর সালমান আলি আঘার স্পিনে দুই রান নিয়ে একশতে পা রাখেন ঠিক দুইশ বলে।

লাঞ্চের সময় তিনি অপরাজিত ১০১ রানে। বিদেশের মাঠে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড গড়তে তার প্রয়োজন আর ৩৯ রান।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়