বাংলালিংক ও টেলিটকের মধ্যে নেটওয়ার্ক ভাগাভাগি
রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটক ও বেসরকারি মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের মধ্যে নেটওয়ার্ক ভাগাভাগি শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে এ দুই অপারেটরের মধ্যে ন্যাশনাল রোমিং পাইলটিং উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ রোমিংয়ের মাধ্যমে টেলিটক সারা দেশে বাংলালিংকের ১৬ হাজার টাওয়ার ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক কাভারেজ সম্প্রসারণের সুযোগ পাবে। অন্যদিকে বাংলালিংকও টেলিটকের প্রায় ৬ হাজার টাওয়ার ব্যবহার করে লাভবান হবে। এর ফলে গ্রাহকরা দেশব্যাপী বিস্তৃত নেটওয়ার্ক কাভারেজের মাধ্যমে ভয়েস, এসএমএস ও ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন।
উদ্বোধনকালে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “ন্যাশনাল রোমিং স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের অভিযাত্রায় একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ন্যাশনাল রোমিংয়ের এই উদ্যোগ বাংলাদেশের টেলিকম অপারেটরদের মধ্যে অবকাঠামো শেয়ারিংয়ের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে।
“এটি উভয় অপারেটরের জন্যই ইতিবাচক, কারণ এর মাধ্যমে তারা একে অপরের অবকাঠামো ব্যবহার করতে পারবে।”
পলক জানান, কোনো স্থানে টেলিটকের নেটওয়ার্ক দুর্বল বা অনুপস্থিত হলে অপারেটরটির গ্রাহক সেখানে বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারবেন। একইভাবে কোথাও বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক দুর্বল বা অনুপস্থিত হলে অপারেটরটির গ্রাহক টেলিটকের নেটওয়ার্ক ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব সামসুল আরেফিন, বিটিআরসি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদে, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির সিইও শাহজাহান মাহমুদ, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফর উল্লাহ, বাংলালিংক সিইও এরিক অস, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।